
পলাতক দুই জঙ্গি কে বহন করা লাল রংঙ্গের মোটর সাইকেলটির মালিকের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীতে। রাতভর এমন গুনঞ্জন শুনা যায়। নম্বর প্লেটটিতে ১টি লালমনিরহাটের ডিজিটাল নম্বর ছিল। আদো এই নম্বর প্লেটি সত্য কি-না সনাক্তে নেমেছে গোয়ন্দারা। লালমনিরহাট জেলার দরিদ্রপ্রীড়িত গ্রাম, তিস্তা, ধরলা নদীর চরা ল ও দূর্গম সীমান্ত গ্রামগুলোকে জঙ্গি সংগঠন গুলো আস্থানা হিসেবে বেছে নিয়েছে। জঙ্গিরা নামে বেনামে নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে শতশত কোটি টাকা সীমান্ত বাণিজ্যে ব্যবহার করেছে। বিদেশ হতে অর্থ আসছে হুন্ডির মাধ্যমে।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর দূর্গম চরা লে জঙ্গিদের ট্রেনিং সেন্টারের খাঁজ ২০০১ সালে পেয়েছিল আইনশৃংখলা বাহিনী। এই দূর্গমচরের জঙ্গি ক্যাম্পের সূত্র ধরে ফেলে ৭১’র বীরমুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন অবঃ আজিজ সহ তারা কয়েক জন সফর সঙ্গি ও এনজিওর কর্মকর্তারা। তারা তিস্তার চরে নদী ও জীবন নামের ১টি এনজিওর প্রোগ্রামে যাচ্ছিল সেখানে পাকিস্তানী পতাকার আদলে পতাকা টানিয়ে শারীরিক কসরত বা ট্রেনিং করার সময় তারা দেখে ফেলে। পাকিস্তানি পতাকা ভেবে ক্যাপ্টেন আজিজ পতাকা উপড়ে দেয়। এসময় যুবকদের একজন প্রশিক্ষকের সঙ্গে সামান্য বাকবিতন্ডা হয়। এভাবে দূর্গম চরা লে ট্রেনিং সেন্টারের খোঁজ মিলে ছিল। পরে জঙ্গিরা ২০০২ সালে জেলার কর্মরত ৭ জন সাংবাদিককে পত্রদিয়ে তাদের ইসলামী স্টেট বা ডেরার ঘোষনা দেয়। সেই সাথে তাদের সহায়তা চায়। নইলে সুকৌশলে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে সেই সময় ৭ জন সাংবাদিক সদর থানায় জিডি করে ছিল।
২০০১ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জেলা সদরের মদিনাপাড়া, নামাটারী, আদিতমারীর মহিষখোচা, কমলাবাড়ি, নামুড়ি, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জের কাকিনা, তুষভান্ডার,দলগ্রাম, চন্দপুর, শিয়াল খাওয়া, চাপারহাট ও পাটগ্রামে মীর্জারকোট, বুড়িমারী, কোটতলি এলাকায় যাদের বিভিন্ন সময় উগ্রমৌলবাদী বই পত্র, লিফলেট, জিহাদি ভিডিও সিডিসহ আটক করে ছিল তাদের পুনরায় খোঁজ খবর রাখতে হবে। তারা নানা জলছাতুরি অবলম্বন করে আইনের ফাঁক গলিয়ে বাহির হয়ে পুনরায় জেএমবিতে অংশ নিয়েছে। তারা একেকজন হয়ে উঠেছে ভয়ংকর ট্রেনিং প্রাপ্ত জঙ্গি।
জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচায় তত্বাবোধায়ক সরকারের সময় জঙ্গি মদনের অপারেশন চলার সময় জনৈক ব্যক্তির পাচায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়ে ছিল। তিনি বেশকিছুদিন চিকিৎসার পর জেলে ছিলেন। সেই সময় ইউপির চেয়ারম্যান সহ কয়েক জনকে জঙ্গি অর্থের সরবরাহকারী ও সহযোগিতাকারী হিসেবে আটক করা হয়। তাদের স্থানীয় যুবউন্নয়ন চত্বরের অস্থায়ী সেনাক্যাম্পে ধরে দিয়ে চাওয়া হয়। জনৈক মহিষখোচার সেই সময়ের ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের হস্তক্ষেপে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। উর্ধ্বতণ সেনা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তদন্ত বেশীদুর গড়াতে পারেনি। এছাড়াও সেই সময়ের ক্যাম্প ইনচার্জ লেঃ কর্ণেল আনিস বার্থরুমে পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলেন। তার কিছুদিন পর হ্নদরোগজর্ণিত অসুস্থ হয়ে মারাযান। সে কারণে তদন্ত আর এগুতে পারেনি। সেই সময়ে লালমনিরহাট ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মঞ্জু বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছে। তিনি ঢাকায় ১টি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছে। তিনি বিষয়টি নিয়ে ইন্টারেষ্ট ছিলেন। তার কাছে পূনাঙ্গ তথ্য মিলতে পারে। সেই সময় সাংবাদিক হিসেবে ব্যক্তিগত ভাবে সম্পর্কের জোরে ও জঙ্গি বিষয়ে কয়েকটি রির্পোট করায় আমার কাছে তথ্য উপাত্ত জানার চেষ্টা করে ছিল। কর্ণেল আনিস স্যার অত্যন্ত বিনয়ী ভদ্র ও সৎ অফিসার ছিলেন।
এদিকে সেই সময়ে সমাজকল্যান মন্ত্রী আলী আহসান মোজাহীদ লালমনিরহাটে প্রায় প্রায় সফরে আসতেন। সার্কিট হাউজে অবস্থান করতেন। গভীর রাতে কাউকে কিছু না বলে তিনি বেরিয়ে গোপন আস্থানায় কোথাও যেত চলে যেতেন। গোয়েন্দাদের কাছে সেই তথ্য রয়েছে। তিনি হাতীবান্ধায় আওয়ামীলীগের এক প্রভাবশালী নেতার আতœীয় জামাত নেতা তিনি ভেন্ডার (দলিল লেখক) বাসায় যেতেন। সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে ছিল। আহার ও বিশ্রাম নিতেন। অনেকের সাথে গোপন বৈঠকে বসতেন। দলীয় বৈঠক বলে চালিয়ে দেয়া হত।
এদিকে কয়েক বছর আগে দিনাজপুরের পুরোহিত হত্যা অংশ নিয়ে ফেরার পথে জঙ্গি মোসাবেরুল একে ফোরটি রাইফেল ও কয়েক শত রাউন্ড গুলি সহ দিনাজপুরের ধরা পরে। তিনি এখন কারাখাওে রয়েছে। তার বাড়ি হাতীবান্ধায়। তবে তার পরিবার সপরিবারে লারমনিরহাট জেলা শহরের বানভাষায় বসবাস করে আসছে। বাবা পেশায় তদশিলদার।
মোসারেরুলের মা জানান, তার ছেলে কে যে জঙ্গি সংগঠনে নিয়ে গিয়ে বিপদগামী করেছে তার ও চক্রটি ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। তার মা বলেন, তার ছেলে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর কোন খোঁজ খবর ছিল না। তার বইয়ে পাওয়া ১টি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধওে এক বন্ধর সাথে যোগাযোগ করে তার খোঁজ খবর পাই। সেই সময় থানায় জিডি করি কিন্তু আইনি কোন সহায়তা পাইনি। পরে তার ছেলে কে টিভিতে অস্ত্রসহ গ্যেফতার হওয়ার খবর শুনে হতবাক হই। সেই মোবাইলে যোগাযোগ করি। তারা দুই একদিন ফোন ধরে পরে ফোন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়। এই জঙ্গি সম্পৃক্তকার সূত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। কিন্তু রহস্যজনক কারনে মামলা হতে আমার ছেলে কে নিয়ে যাওয়া সেই যুবক অব্যহ্নতি পায়। মোসাবেরুলের মায়ের মতে, ঐ যুবক ১টি মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের পুত্র। সেও মাদ্রাসায় পড়েছে।
এদিকে ১টি সূত্র দাবি করছে, কাতার চেরিটি, ইসলামি এইড, জামাত শিবির রিলেট্রেড ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার প্রতিষ্ঠান গুলোকে কঠোর মনিটরিংয়ে নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। তাদের কার্যক্রম নজরদারি করা জরুরি। তা না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘœ ঘটতে পারে। লালমনিরহাটে এমন বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ২০০১ সালের বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে ছিল যারা ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তার আড়ালে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় জড়িয়ে গিয়ে ছিল। তারা গভীর মানুষের সহানুভুতি পেতে ঈদে শতশত পশু কোরবানি দিয়ে বিলিয়ে দিয়েছে। তাদের একজন হাড়িভাঙ্গার রিয়াজুল ইসলাম নামে ব্যক্তি ছিল। তার তথাকথিত এনজিও মাধ্যমে বিদেশ হতে অর্থ আসত। সে এখন শত কোটি টাকার মালিক। তার এনজিওটির অফিস ছিল লালমনিরহাট সদরের আবুল হোসেন পেট্রোল পাম্পের পিছনে। তাদের বর্তমান কার্যক্রম পর্যালোচনা করা খুব দরকার।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুখ্যাত জঙ্গি ও শিবির নেতা তার বাবা প্রয়াত এখন। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদরের কমান্ডার ছিলেন। ছিলেন দীর্ঘদিনের জেলা জামাতের আমীর। সেই শিবির নেতা এখন তার দুলাভাই আওয়ামীলীগের এমপি। তার সহায়তায় সেই শিবির ও জঙ্গি নেতা বর্তমানে মুন্সিগঞ্জে অবস্থান করছে। সে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠোপোষকতায় এনজিওর বড় কর্মকর্তা হয়ে সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে কাজ করছে। জনশ্রুতি রয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধিনে সেই কর্মকর্তার মাধ্যমে ঢাকা শহরের আশেপাশে ঐ কর্মকর্তা শিবির ও জঙ্গিদের নানা ভাবে ছদ্দাবেশে রেখেছে।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারীর মহিষখোচা এই জেলার জঙ্গি সংগঠনের সূতিকাগার হিসেবে সুপরিচিত। জেলায় গোয়েন্দাসহ আইনশৃংখলাবাহিনী সকলে জানে। জামাত শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সুকৌশলে মহিষখোচার এক যুবক যে কি-না শিবিরের আর্থিক সহায়তায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। সে সেই সময়ে ছাত্রদলের নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বান্নার রুমে ছিল। ছিল বান্নার সাথে সখ্যতা। তাকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জামাত শিবির চক্র ভিড়িয়ে দিয়েছে। সে এখন ১টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর এপিএস। সে সুকৌশলে জামাত শিবির কে আওয়ামীলীগে প্রতিষ্ঠিত করছে। তার এলাকায় বিএনপি নেতা ও কুখ্যাত রাজাকার পুত্র নৌকা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান। পলাশি ইউপি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কুখ্যাত রাজাকার পুত্র হয়েছে। একই কমিটির সভাপতি আবার মুক্তিযোদ্ধা। এই এপিএস, মন্ত্রী ও মন্ত্রী পুত্রের কারনে বিএনপি জামাতের নির্মম হত্যা কান্ডের মিকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুই ইসলাম সুরুজের পুত্র দ্বয় স¦তন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান ও নৌকাপ্রার্থী হয়ে কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েও আওয়ামীলীগের নতুন কমিটিতে সদস্য পদ পায়নি। বিষয়টি তৃণমূলের নেতা কর্মীরা গণবিক্ষোভ, আন্দোলন, সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ করে। এমন কি পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন করে। এই মন্ত্রী , মন্ত্রী পুত্র, ও এপিএস সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নেপেটিভ রির্পোট দিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে মন্ত্রী, মন্ত্রী পুত্র,ও এপিএসের সকল অপকর্ম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের নেতা কর্মীরাও জঙ্গি সম্পৃক্ততা, বিএনপি জামাতা, শিবির সম্পৃক্ততা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থার জেলা পর্যায়ের জনৈক কর্মকর্তা জানান, লালমনিরহাটে কর্মরত থাকার সময় বর্তমান সরকারের মন্ত্রী ও এমপি পাটগ্রামের জামাত, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গি অর্থায়নের পদ পদবী ভুক্ত জামাতের আমীরের পুত্র ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিবির নেতা ছিল। তাকে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ করতে এমপি, মন্ত্রী তাঁকে ফোন করেছিল। বলে ছিল আওয়ামীলীগের ত্যাগী পরিবার লিখে ভেরিভিকেশন রিপোর্ট দিতে। তিনি দেননি। তাঁকে সেই জামাত নেতা ১৫ লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা দিতে দিতে নিয়ে এসেছিল। জামাত নেতা বাড়ি কেনার জন্য ইসলামি ব্যাংক হতে বিনা সূদের ঋনে প্রলোভন দিয়ে ছিল। তিনি নেননি। একে একে তিন বার তদন্ত প্রতিবেদন তার কাছে সংশোধন করতে ফিওে এসেছিল তিনি করেননি। সত্য তদন্ত রিপোর্টট দিয়েছেন। ফলে তার প্রমোশন আটকে যায়। তাঁকে এক জোন হতে অন্য জোনে বদলি করা হয়। তিনি বলেন, এভাবে তো কোন দিন জঙ্গি, উগ্রমৌলবাদ, ধর্মান্ধতা নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাঁকে জনৈক শিক্সা অফিসার সুন্দরি নারীকে দিয়েও তদবির করানো হয়েছিল। তারা জানতেন তার ফ্যামিলি রংপুরে অবস্থান করেন।
এদিকে লালমনিরহাট জেলায় বর্তমানে দুর্ধর্ষ নারী জঙ্গি সহ ৮/১০ জন মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে এই কারাগার সংলগ্ন চিনি পাড়া গ্রামে ১টি মন্দির উঠান, মুরগির খামার, বাড়িসহ ও ২১টি স্থানে রাতে একযোগে অগ্নি সংযোগ করে ভয়ানক নাশকতা করার চেষ্টা করা হয়। আগুনের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘুমন্ত গ্রামবাসি কেউ একজন টের পেয়ে যায়। তার চিৎকারে গ্রামবাসির তাৎক্ষনিক যৌথ উদ্যোগে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। রক্ষাপায় ভয়াবহ নাশকতা হতে। এখনো পর্যন্ত গোয়েন্দারা এই নাশকতার চেষ্টার ঘটনায় কোন কুল কিনারা করতে পারেনি।
পলাতক জঙ্গি আবু সিদ্দিক ওরফে সাকিব দুইদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি এখনো। তার গ্রামের বাড়িটি সুরক্ষিত দূর্গের মত। উচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা টিনসেড সুরম্য অট্টোলিকা। বাড়ি টি দামী টাইলস দিয়ে মেঝে ও ওয়াল বাঁধানো। কয়েক দিন হতে পরিত্যক্ত পড়ে রয়েছে। পরিবারের সকলে আতœগোপনে রয়েছে। কেউ কেউ বলছে তারা সপরিবারে ঢাকায় বসবাস করছে। পরিবারটি ছিল ভুমিহীন। ১৫/১৬ বছরের ব্যবধানে কোটিপতি ধনাঢ্য পরিবারে পরিণিত হয়েছে। কিনেছে প্রায় ২০/২২ বিঘা আবাদি কৃষি জমি। জঙ্গি সাকিবের বাবা এলাকায় ন্যাপ ভাষানীর রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সুপরিচিত। সকলে তাকে একজন বাম ঘরনার নেতা হিসেবে চেনেন। বামঘরনার রাজনৈকি পরিবারের আড়ালে পরিবারটি মারাতœক জঙ্গিবাদের সম্পৃক্ত হয়।
স্থানীয় যুবক সাইদুর রহমান বাড়িটির কেয়ার টেকার হিসেবে দেখাশোনা করে আসছে। তিনি বলেন, হঠাৎ সম্পদশালীর বিষয়টি গ্রামবাসি সহ তার মনেও কৌতহল সৃষ্টি করেছিল। বিএনপি জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ইসলামি এইড সহ নানা আর্থিক সহায়তা গ্রামের মানুষকে দিয়ে ছিল। তখন প্রচার করেছিল ন্যাপের নেতারা বর্তমানে বিএনপি জামাতে অনেকে রয়েছে। তাদের মাধ্যমে এসব সহায়তা এসেছে। এখন ঢাকায় তার পরিবার সুপ্রতিষ্ঠিত। ছেলে ঔষধ কোম্পানি রয়েছে, কোচিং সেন্টার রযেছে। এক পুত্র ম্যানপাওয়ারের ব্যবসা করে। বিদেশে লোকপাঠায়। বর্তামন সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পরিবার পরিজন ও মন্ত্রীর সাথে তার সুনিবির সম্পর্ক তার মাধ্যমে ঢাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করে করছে। যেহেতু মন্ত্রীর বাড়ি নির্বাচনী এলাকায় বিষয়টি কে তারা মেনে নিয়েছিল। তার পুত্র জঙ্গি নয় বলে গ্রামে প্রচার করে। বইয়ের প্রকাশনি ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার পুত্র সাকিব মিথ্যে মামলায় জেলে রয়েছে এমন প্রচার করা হয়। গ্রামবাসি কিছুটা বিশ্বাস করেছিল। কেন না তারা বিশ্বাস করে অপপ্রচার করেছিল। এমনও প্রচার করছিল যে, তার পুত্রকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইবে। গ্রামবাসী জানতেন মন্ত্রী পরিবারের সাথে বামধরনার রাজনীতির করার কারনে সুসর্ম্পক ছিল।
লালমনিরহাটের মুক্তিযুদ্ধার চেতানা ও আদর্শেও মানুয় এবং গ্রামবাসিরা জানান, সমাজকল্যাণমন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে আছে জঙ্গি মৌলবাদীদের চর। মাঠ পর্যায়ে দুই চার জন জঙ্গির কর্মী আটক হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে জঙ্গিদের মূলহোতা। এই হোতা ও অর্থের যোগানদাতারা সরকারের এমপি, মন্ত্রী, স্থানীয় পর্যায়ে নেতাদের মদপুষ্ঠ হয়ে অবাদে বিচরণ করছে। জঙ্গি সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারেনি সরকার। এই সিন্ডিকেট কৌশল পাল্টিয়ে সরকারি দলের নেতা কর্মীদের কে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তানা হলে একজন এপিএস শতকোটি টাকার মালিক কেমনে হয়। আমেরিকায় বাড়ি গাড়ি কেমনে হয়। তার স্ত্রীর ব্যবহ্নিত কার হতে একশত ৪ বোতল ফেন্সিডিল পুলিশ আটক করে। পুলিশ নিছক মাদক মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। কিন্তু এখন গোয়েন্দারা সন্দেহ করছে জঙ্গিরা মাদক ও সীমান্ত ব্যবসায় অর্থেও যোগান দিচ্ছে। এক এপিএসের স্ত্রীর শ্বশুড় ও সমন্ধি এই সিন্ডিকেটের হোতা। ঐ পরিবার টির বিরোধে সমাজ বিরোধী একাধিক মামলা রয়েছে।