সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট ।।লালমনিরহাট জেলায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ৮৪ মেঃটন চাল ও ৩ হাজার ৩ শত প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিন দিন পরেও নদীকূলবর্তী ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা যায়নি। তিস্তা-ধরলা নদীর পানি বৃহস্পতিবার সকাল হতে নামতে শুরু করেছে। পানিবন্দি মানুষজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
সোমবার হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৭ সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। জেলা সদর, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও পাটগ্রামের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জেলার নদী পাড়ের ১০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল হতে তিস্তা নদীর পানি কমে বিপদ সীমার ৩৫ সেঃ মিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৮ সেঃমিঃ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌল্লা জানান, উজানি ঢলের কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপরে প্রবাহিত হয়। এখন পানি নেমে যেতে শুরু হয়েছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার সহকারী কমিশনার নাদিয়া নওরিন জানান, ইতোমধ্যে ৮৪ মেঃটন চাল ও ৩হাজার ৩ শত প্যাকেট শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এখনো প্রায় জিআর দুই শত মেঃটন চাল ও ৪ লাখ নগদ অর্থ মজুদ রয়েছে। লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী জানান, বন্যায় জেলার তিস্তা নদী পাড়ের পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু গ্রাম। ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো পাঠদান শুরু করা যায়নি। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো: আবু জাফর জানান, জেলা, উপজেলার মাধ্যমে সরকার বন্যাদূর্গতদের পাশে আছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৪ আগষ্ট-২০২২