সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে শাহাদাত হোসেন (২৮) নামের একজন নিহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫ টায় জেলার পাটগ্রাম সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক পাটেগ্রাম সীমান্তের আউলিয়ারহাট (গাইবান্ধাপাড়া) গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র।
একই দিন পৃথক ঘটনায় জেলার হাতীবান্ধা সীমান্তে শরিফুল ইসলাম(২৮) নামের একজন বিএসএফের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছে।
এরা উভয়েই গরু চোরাচালনকারী দলের সদস্য। নিহতের লাশ ভারতীয় বিএসএফের সহায়তায় মেখলিগঞ্জ পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
বিজিবি ও প্রত্যক্ষদর্শী সীত্রে জানা গেছে, জেলার পাটগ্রাম সীমান্তের শমশের নগর ৬১ বিজিবি ক্যাম্পের অধীনে থাকা সীমান্তের ৮৬৩ মেইন পিলারের ৮ নম্বর সাব পিলারে পাশ দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) গরু আনতে গিয়ে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার ১৬৯ রানীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চুঙ্গার খাতা ক্যাম্পের সদস্যের গুলিতে সাহাদাত হোসেন (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে লাশটি ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে রেখেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ১৫ বিজিবির অধীনে থাকা বনচৌকি বিওপি ক্যাম্পের ৯০৬ নম্বর মেইন পিলারের ৫০ গজ দুরে ভারতের আমঝোল গ্রামে শরিফুল ইসলাম (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে ভারতীয় ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পাগলামারি ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে। বিএসএফের গুলিতে তার হাঁটু ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত অবস্থায় অন্য সতীর্থরা তাঁকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। বর্তমানে সে রংপুরে মেডিকেলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাটুতে গুলিবিদ্ধ শরিফুল হাতীবান্ধা সীমান্তের দৈইখাওয়ার আমঝোল গ্রামের লিয়াকত আলীর পুত্র।
এব্যাপারে ৬১ বিজিবি ও ১৫ বিজিরি পক্ষে পতাকা বৈঠকের আহবান করে পত্র দিয়েছে। পৃথক এই ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তবাহিনী বিএসএফ পত্রের কোন উত্তর দেয়নি।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, সীমান্ত হত্যার ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া গেছে। ভারতীয় বিএসএফের সহায়তার মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। বিজিবি বা পরিবারের পক্ষে কেউ তাঁকে বিষয়টি অফিসিয়ালি জানায়নি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post