সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট:জেলার আদিতমারী উপজেলার নামুড়িতে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
আজ রবিবার এ বিষয়ে আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের নাম নুরুল আমীন। অপহরণের সময় চাচা রুহুল আমীন (৪০) ও দাদা আবু তালেব (৭০) বাধা দেয়। এ কারণে দুই জন কে রক্তাক্ত জখম করেছে অপহরণকারিরা।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ছয়টায় উপজেলার নামুড়ি ইদগাহ মাঠ সংলগ্ন দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন কে সাদা পোশাকে ১০/১২ জনের দূর্বৃত্ত অপহরণ করে। কালো রং এর হাইয়েস মাইক্রোবাস ও একটি সাদা প্রাইভেট কারে এসে ছিল দূর্বৃত্তরা। তারা প্রশাসনের ও পুলিশের লোক পরিচয় দেয়।
এ সময় তার চাচা রুহুল আমিন (৪০) ও দাদা আবু তালেব (৭০) এগিয়ে এসে পরিচয় জানতে চাইলে মারধর ও কূপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনার সময় প্রধান শিক্ষকের ছেলে আব্দুর রউফ অপহরণের কাজে ব্যবহৃত গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দেয়।
এদিকে ১টি সূত্রে জানা গেছে, উক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে এক মন্ত্রী, মন্ত্রীপুত্র ও এপিসের রয়েছে ঘনিষ্ট সর্ম্পক। এই গ্রামটি জামাত অধূষ্যিত। রহস্যজনক অপহরণের স্বীকার প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময় সরকারি চাকুরি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক, স্বাস্থ্য বিভাগের ইউনিয়ন কর্মীসহ নানা বিষয়ে তদবির করে থাকেন। তিনি চাকরি দেয়ার কথা বলে কয়েক কোটি টাকা নিরীহ মানুসের কাছে হাতিয়ে নিয়েছে। মন্ত্রীর ঘনিষ্টতায় কেউ তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মুখ খুলতে সাহস পেতনা। কেউ বলছে পাওনা উদ্ধারে এই অপহরণ বা জিম্মি করা হতে পারে। আবার কেউ বলছে সে হঠাৎ অর্থ সম্পদের মালিক হয়ে গেছে। তাই কেউ মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে তাকতে পারে। নামুড়ি গ্রামটি জামাত, শিবির ও উগ্রমৌলবাদ অধূষ্যিত। এখানে জামাত পরিচালিত কাতার চ্যারিটি ও এতিম খানা বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এক প্রভাবশালী জামাত নেতা এটি পরিচালনা করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির রাতারাতি নাম পাল্টিয়ে নামুড়ি মাদ্রাসা করা হয়েছে। এই শিক্ষককের সাথে জঙ্গি মৌলবাদী গোষ্ঠির দ্বন্দের জেরে এই অপহরণ কি- না , প্রশ্ন উঠেছে? এখনো পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনী বা কোন প্রশাসনের পক্ষে এই অপহরণের ক্লু পাওয়া যায়নি।
আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম জানান, অপহরণের শিকার প্রধান শিক্ষকের পুত্র আব্দুর রউফ থানায় অভিযোগ করেছে তার বাবাকে দূর্বৃত্তরা অপরহন করেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post