এক সপ্তাহে চারজন শিশু নিখোঁজ হয়েছেন
শেখ সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট, ৪ জুন \
জেলা শহরের মিশনমোড়ে নিখোঁজ শিশুর সন্ধানে স্বজনদের মানববন্ধ মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে পৃথক পৃথক জায়গা হতে চারজন শিশু নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে লালমনিরহাট শহর হতে তিন শিশুকে লোকজন উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে ফিরত পাঠায়। রহস্যজন কারণে মাদ্রাসা হতে নিখোঁজ হওয়া শিশু আলাউদ্দিন কে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। উৎকন্ঠিত স্বজনরা। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার রাত ৮ টায় জেলার আদিতমারী উপজেলার দূগার্পুর সীমান্ত বাজারে এক শিশুকে কার উঠিয়ে নেয়ার সময় পথচারিরা কারটি আটক করেছে। বাজারে লোকজনের জঠলা বেঁধেছে। জঠলায় কারও কোন পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। শিশু ধরা সন্দেহে লোকজন কারের আরোহিদের গণপিটুনী দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকী বাড়ি গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র মুহাত্তাদির ইসলাম(১২) ও একই গ্রামের মশিউর রহমানের পুত্র কবির হোসেন (১১) দুই জুন বাড়ির পাশে খেলার সময় নিখোঁজ হয়। ৩ জুন জেলার আদিতমারী উপজেলায় মহিষখোচা গ্রামের রবিউলের পুত্র মুস্তাকিন ফিজার(১৩) নিখোঁজ হয় ৩ জুন। তাদের তিন জনকে শহরে ঘোরাগুরি করা অবস্থায় লোকজন উদ্ধার করে। মুহাত্তাদির ও কবিরকে ইতিমধ্যে তাদের বাবা মায়ের কাছে পৌচ্ছে গেছে।
মুস্তাকিনের অভিভাবকের সন্ধান চলছে তার দেয়া তথ্যমতে। রহস্যজনক ভাবে জেলা সদরের হারাটি ইউনিয়নের তালিমুল কুরআন রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা হতে আলাউদ্দিন সরকার(১২) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়। শিশুটির অভিভাবক গণ বিষয়টি জানতে পারলে ৩ জুন মাদ্রাসায় যায়। সেখানে তাদের অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে শিশুটির বাবা জরিপুল্লাহ(৪৫)। এদিকে শিশু আলাউদ্দিনের কোন খোঁজ না পেয়ে তার স্বজনরা মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড়ে শিশুটির সন্ধান পেতে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেছে।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সীমান্ত সংলগ্ন জেলা লালমনিরহাটে পুনরায় শিশু পাচারকারী চক্র সংগঠিত হতে চায় কি—না। উদ্ধার হওয়া শিশু তিনটি লালমনিরহাট শহরে বা এলো কিভাবে, কি করতে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, মাদ্রাসা হতে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির সন্ধানে সারাদেশের থানায় তথ্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটি স্টেশন রোডে ঘোরাঘুরি করার একটি ভিডিও ক্লীপ তার হাতে এসেছে। সেই ভিডিও ক্লীপের সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। এদিকে আদিতমারী থানার ওসি মাহামুদুনবী জানান, এধরনের একটি খবর পেয়েছি। তারা নাকি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রনের লোকের পরিচয় দিচ্ছে। পুলিশ ঘটনা স্থলে গেছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//কুন ৪,২০২৪//

Discussion about this post