সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট ।। লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের উপর দূবৃর্ত্তের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
যমুনা টিভির সাংবাদিক আনিসুর রহমান লাডলা, প্রথম আলো সাংবাদিক আব্দুর রব, টিভির ক্যামেরাপার্সনসহ পৃথক তিনটি ঘটনায় পাঁচ জন সাংবাদিক হামলা ও চাকরিচ্যূতির শিকার হন।
এরই প্রতিবাদে শনিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে জেলা শহরের মিশনমোড়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আহমেদুর রহমান মুকুলের সভাপতিতে জেলা সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক গণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাবেশ ও মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। এসময় বক্তাগণ হুসিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারী দূর্বৃত্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এর ব্যতয় ঘটলে সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। গুরুতর আহত সাংবাদিক আনিছুর রহমান লাডলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে লালমনিরহাট দুই আসনের এমপি ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রীর এপিএসে স্ত্রীর ব্যবহ্নিত প্রাইভেট কার হতে ২৬ জুলাই একশত বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়। এসময় চালক মিজানকে আটক করে পুলিশ। প্রাইভেটকার ও মাদক জব্দ করে মাদক আইনে মামলা হয়। ঘটনাটি দৈনিক জনকণ্ঠ সত বেশকিছু পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার প্রকাশ হয়। কয়েকটি টিভি স্কলে খবরটি ব্রাকিং রিপোর্ট হয়।
প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী গণ সরকারের প্রভাবশালী মহলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বাসসের চাকুরি হতে অব্যহ্নতি দেয়া হয়। বাসস সাংবাদিক দৈনিক জনক›ঠ পত্রিকায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে কাজ করে আসছে। অনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বিনা নোটিশে তাঁকে চাকুরিচ্যূত করা হয়। চাকরিচ্যূতর পত্রটি সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ডাক যোগে পাওয়ার আগে চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেনতেন ভাবে ভাইরাল করে হেয় করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে জেলার সাংবাদিক গণ স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি চরম আঘাত বলে মন্তব্য করেন। অবলম্বে চাকুরিচ্যুতির আদেশ প্রত্যাহার করে পুনরায় নিয়োগ বহাল রাখার অনুরোধ করেন। শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড়ে প্রতিবাদ সামাবেশ ও মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আবু হাসনাত রানা, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, সাংবাদিক আহমেদুর রহমান মুকুল, সাংবাদিক আব্দুর রব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজার রহমান মন্ডলের বড় ছেলে সাহেদ মন্ডল প্রতিবেশীর দুই সন্তানের জননীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। সাহেদ মন্ডল নিজে পূর্বের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তার প্রথম স্ত্রী বিষপাণে আতœহত্যার চেষ্টা করে। এ চাঞ্চল্যেকর ঘটনায় সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে যুবলীগের নেতা সাহেদ মন্ডলের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দূর্বৃত্তরা পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাকোরপাড় নামক স্থানে সাংবাদিকদের পথরোধ করে ক্যামেরা ট্রাইপড কেড়ে নিয়ে মাথায় আঘাত করে। ক্যামেরা, মোবাইল ভাংচুর করে। শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এডভোকেট মোঃ মতিয়ার রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//২০২২

Discussion about this post