শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম সহ ছাত্রলীগের চার নেতার নামে দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার ওই পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়।
অন্য আসামিরা হচ্ছে লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মানিক ও ঢাকা তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি হোসাইন তূর্য।
এর আগে ওই মামলায় ছাত্রলীগের এই চার নেতাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে ছিল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আদালত।
৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ছিল আদালতে হাজিরার দিন। যথা সময়ে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে ছিল। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মোঃ হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে আসামিদের নামে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।
শুনানি শেষে বিচারক মামলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকা শাহজাহানপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
মামলার বাদী হুমায়ুন কবীর জানান, ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট রাতে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় তিনি। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা হঠাৎ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ইস্যু নিয়ে বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক সহ অন্য আসামিরা হুমায়ুন কবিরকে ঘিরে ধরে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা লোহার রড দিয়ে বাদীর মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে রডের আঘাত তার ঘাড়ে লাগে। এরপর আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। সে সময় এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, বাদীকে আসামিরা ঘিরে ধরে মারধর করছে। বাদী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে জোর করে ধরে এনে পেটানো হয়। সেসময় আশপাশের লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে। চলতি বছরের ৫ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার পুলিশের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হওয়ার সমনের আদেশ দিয়ে ছিল।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post