সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা দপ্তরে হরিলুট । কোটি কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারে উত্তোলন। খবর দৈনিক দেশ তথ্য প্রত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষক কর্মকর্তার দপ্তর হতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আজ রবিবার জেলা হিসাব রক্ষক দপ্তরে ডিপুটি ডিভিশনাল সিএ মোঃ রফিকুল ইসলাম তদন্ত করতে এসেছেন। তার নেতৃত্বে দূর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছে।
লালমনিরহাট সরকারী নার্সিং কলেজ, সমাজকল্যাণ দপ্তর, টিটিসি, যুবপ্রশিক্ষন কেন্দ্র, মহিলা অধিদপ্তর, প্রকল্প কর্মর্তার দপ্তর (পিআইও), এলজিইডি, গণপুর্ত, সড়ক ও জনপদ ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের নামে ভূয়া বিল ভাইচারের মাধ্যমে শতকোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এমন কী কোভিট -১৯ এর সময় সরকারি সকল দপ্তর, স্কুল , কলেজ, প্রশিক্ষণ সেন্টার, নার্সিং কলেজ বন্ধ ছিল। সরকারী ভাবে বন্ধ অবস্থায় প্রশিক্ষণ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা বিলভাইচার দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এখানে রক্ষক ভক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছর ও ২০২০- ২০২১ অর্থ বছরে হরিলুট করেছে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও সমাজ সেবার প্রকল্পের প্রায় ৯ কোটি টাকা ভূযা বিল ভাইচারে উত্তোলন করা হয়েছে। এই প্রকল্পটিকে পুষ্প প্রকল্প নামে পরিচিত। একই অবস্থা জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সেখানে ৫টি ট্রেডে নারীদের প্রশিক্ষণের নামে প্রতিটি উপজেলা হতে দুই কোটি টাকা করে ৫টি উপজেলা হতে ১০ কোটি টাকা তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। পিআইও অফিসের মাধ্যমে কোভিড -১৯ সহায়তার নামে ভূয়া বিল ভাউচার করে হরিলুট করার হয়েছে। একই ভাবে গণপুর্ত ও এলজিইডির কয়েকটি প্রকল্পের সংস্কার দেখিয়ে বিল উত্তোলনের খরব সবার মুখে মুখে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের একশত ২৩ শতাংশ সরকারি জমি সদর উপজেলার মোস্তফিতে ব্যক্তি মালিকানা দেখিয়ে বিক্রি বায়না দলিল করা হয়। এই বায়নার একটি চেক জেলা হিসাব কর্মকর্তার দপ্তর হতে পাশ করা হয়। দূর্নীতির বিষয়টি ফাঁস হলে জেলা হিসাব কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান তরিঘড়ি করে বদলি হয়ে যায়।
এ ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক দপ্তর , মহা হিসাব নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে দূর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। রংপুর বিভাগীয় ডিপুটি হিসাব কর্মকতা ডিডিসিএ মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে জেলা হিসাব রক্ষক দপ্তরে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post