সচিব ও ডিজিসহ দশজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রমজানে রাজধানীর ২৫ পয়েন্টে লাশবাহী গাড়িতে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ দশ জনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা হয়েছে। হাই কোর্টের রিট পিটিশন মামলা নম্বর-৮৪৬০/২০২৫।
আগামী ২৫ মে রোববার মামলাটির শুনানির কথা রয়েছে। জণস্বার্থে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন নামের একজন সিনিয়র সাংবাদিক । মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, পরিবেশ সচিব, ডিজি হেলথ, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিজি পরিবেশ, ঢাকা সিভিল সার্জন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন মেয়র/সচিব ।
জানা যায়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে গেলো পবিত্র রমযান উপলক্ষে মাস জুড়ে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাজধানীর ২৫টি পয়েন্টে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য অনুপযোগী দুধ, ডিম , গরুর মাংস ও ড্রেসড ব্রয়লার বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করে । অনেক জায়গায় খাদ্য অনুপোযোগী মাংস বিক্রি করার অভিযোগে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যেও ছড়িয়ে পড়ে ।
উল্লেখিত বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অপরিপক্কতা এবং উদাসীনতায় রমজানে ধর্মভীরু ও স্বল্প আয়ের মুসলমানদের ইমোশন নিয়ে প্রতারণা করে । যে কারণে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে স্টিকার লাগিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও অপ্রীতিকর জেনেও খাদ্যদ্রব্য বিক্রি কার্যক্রম চালায় । যা জনস্বার্থে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। উক্ত বিষটি গত ৩০ মার্চ দৈনিক দেশের কন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় ওঠলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নীরব থাকে।
এ ধরনের দায়িত্বহীনতার কারণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি করে সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ দেলোয়ার হোসেন উচ্চ আদালতে রিট মামলার মাধ্যমে বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, কেবল দায়িত্বহীনতা নয় বরং বিগত স্বৈরাচার সরকারের নির্ধারিত ঠিকাদার কর্তৃক দরপত্র আহ্বান ছাড়াই বংশীয় গরু কাণ্ডের জনৈক ইমরানের ঘনিষ্ঠ লোক মাফুজকে দিয়ে ডিজি নিজেই এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা লোপাট করে বলেও জানা যায়। যেটা সঠিকভাবে তদন্ত করলেই সত্যতা মিলবে। টাকা বাঁচানোর হীন উদ্দেশ্যে লাশের গাড়ীতে ঠিক লাশ রাখার জায়গায় মানুষের খাদ্য হিসেবে কাঁচা মাংস সংরক্ষণ ও বিপণনের বিষয়টি বিষ্ময়কর ও অভিনব। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা মামলার বাদীসহ অন্যান্য সকলকে হতাশ করেছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//