যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার গাজী পাড়ার রাজু আহমেদ দম্পতির বিরুদ্ধে সদ্য জন্ম নেওয়া নিজ নবজাতকে ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। যদিও ওই নবজাতক বাবা-মায়ের দাবি পর পর ২ কন্যা সন্তানের পর তৃতীয়বার আবারও কন্য সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর অন্য এক নিঃসন্তান দম্পতিকে ওই কন্যা সন্তানটিকে দিয়ে দিয়েছেন তারা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে বাগআঁচড়ার গাজী পাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজু আহমেদের স্ত্রী শিরিনা বেগমের পর পর ৩য় বার পুত্র সন্তানের আশায় কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তার এক ঘন্টার মধ্যে নবজাতকটিকে তাদের ফুফু শ্বাশুড়ি জনৈক রিজিয়া বেগমের মাধ্যমে নাভারণ কুন্দিপুর গ্রামের তৈয়মুরের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে নবজাতকের পিতা অভিযুক্ত রাজু আহমেদ বলেন, তার ২ টা কন্যা আছে, পুত্র সন্তানের আশায় আবারও বাচ্চা নিলে ৩য় বারেও কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় বাচ্চাটিকে তারা অন্য নিঃসন্তান দম্পতিকে দিয়ে দিয়েছেন। তার স্ত্রী শিরিনা বেগমও একই দাবি করেন। এসময় ৩লক্ষ টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা তা অস্বীকার করেন।
আইনি প্রক্রিয়ায় সন্তানকে হস্তান্তর করেছেন কিনা জানতে চাইলে তারা তা করেননি জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় বাচ্চা অন্য কাউকে দেওয়ার ব্যাপারে জানেননা বলে দাবি করেন।
এদিকে নবজাতকে হস্তান্তরকারী রিজিয়া খাতুন বলেন, বাচ্চা তিনি দিয়ে এসেছেন। কাকে দিয়ে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার নিঃসন্তান ছেলে-বউমার জন্য বাচ্চা চাইলেও শিশুটির পিতা রাজু তাদেরকে দিতে রাজী হয়নি। তাই তিনি শিশুটিকে তার বৌমার ভাই নাভারনের জনৈক তৌমুরকে দিয়ে এসেছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে তৌমুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাচ্চাটিকে তিনি নিয়েছেন। তবে বাচ্চাটিকে যশোরের চাচাতো বোনকে দিবেন । আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান এবিষয়ে কোন কিছুই তিনি জানেন না।
বা//দৈনিক দেশতথ্য// ১৩ নভেম্বর