সুদীপ্ত শাহীন, লালমনিরহাট: স্ত্রী-সন্তান ছিল। সুখের সংসার। আসাদুজ্জামান (৫৬) কৃষি মজুরি ও বর্গাচাষ করে সংসসার চালাত। স্ত্রী ও পাঁচ মেয়ে ও বৃদ্ধা মা’র একমাত্র ভরসাস্থল ছিল ছেলে। একে একে পাঁচ মেয়ে কে বিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ জীবনের ছন্দপতন ঘটে পরিবারটির। একমাত্র উর্পাজনক্ষম পুত্র আসাদুজ্জামান মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
নিরুপায় হয়ে স্ত্রী এক মেয়ে কে নিয়ে বাবার আশ্রয়ে চলে যায়। ভারসাম্যহীন আসাদুজ্জামানের ঠিকানা হয় বৃদ্ধা মা আশফা বেগম (৬৫) কাছে। মা এভাবে গাছের সঙ্গে শিকল বেঁধে রেখে অন্য বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজে চলে যায়। সন্ধ্যা ফিরে এসে মা – ছেলে মিলে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধা মা’র পক্ষে নাড়ি ছেঁড়া ধন পুত্রে চিকিৎসা করানো অসম্ভব। বিত্তবানদের অথবা সরকারের সুদৃষ্টি আশা করেন মা তার পুত্রের চিকিৎসা করাতে। ৬ মাস ধরে চলছে তার শিকলে বাধা জীবন। উন্নত চিকিৎসা করাতে পারলে সে সুস্থ্য জীবন ফিরে পেতে পারে।
অসহায় আসাদুজ্জামানের বাড়ি জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামে। বাবা মৃত জাফর । সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপি লালমনিরহাট জেলার সন্তান। তার মন্ত্রণালয় মানসিক প্রতিবন্ধি নিয়ে কাজ করে থাকে। মন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও সহায়তা প্রার্থী বৃদ্ধা মা ।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post