মেহেরপুরের গাংনীতে মাদ্রাসাতে শিক্ষক এখলাছুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত এখলাছুর রহমান কাজিপুর গ্রামের পোস্ট অফিস পাড়ার একরামুল ইসলামের পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (১১ই জুন) শনিবার সকালের দিকে কাজিপুর অভিযোগকারী ঐ স্কুল ছাত্রী (৮ বছর বয়সী) এক ক্লাস করার উদ্দেশ্য মাদ্রাসাতে যায়। মাদ্রাসা শিক্ষক ও অভিযুক্ত এখলাছুর রহমান তাকে পাকা কাঁঠাল খাওয়ানোর কথা বলে লোকচক্ষুর আড়ালে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রীর জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী ছাত্রী চিৎকার দেয়। চিৎকারের শব্দে মানুষজন জড়ো হলে শিক্ষক এখলাছুর রহমান পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ নিয়ে যায় কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড নওদাপাড়া গ্রামের মেম্বার মহন আলীর কাছে। মহন আলী এবং নওদাপাড়া গ্রামের ব্যাবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যাক্তী কুদ্দুস আলী ইউনিয়ন পরিষদে শালিসের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলে তাদের আইনি প্রক্রিয়া থেকে বিরত রাখেন।
(১২জুন) রবিবার ভুক্তভোগী পরিবার কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন।চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন আইনি আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মহন আলী ও কুদ্দুস আলীর উপরে। মহন আলী মেম্বার কুদ্দুস আলীর বিরুদ্ধে শিক্ষকের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে বিষয়টি চেপে রাখার চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ করে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
এবিষয়ে মুঠোফোনে আলাপকালে কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মহন আলী জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছিল একটা মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে। পরে হাত-পা ধরে ক্ষমা চাইলে কোন অর্থিক লেনদেন ছাড়াই তাকে ক্ষমা করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।তবে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এখলাছুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তিনি ফোন বন্ধ করে রাখেন। গাংনী থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনোজিৎকুমার নন্দী জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি তবে বিষয়টি তিনি খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানান।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//