হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম কর্তৃক যৌন হয়রানীর অভিযোগে তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, তিনি যখনি ক্লাসে যান তখনি মেয়েদের শরীরে হাত দেন। আমরা চাই না আমাদের আর কোনো বোন তার দ্বারা হয়রানীর শিকার হোক। তার মতো শিক্ষক আমরা এ বিদ্যালয়ে চাই না। আমরা তার পদত্যাগ চাই।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সফর আলী ভুইয়া জানান, আমাদের কাছে কেউ এমন অভিযোগ করেনি। হয়ত ছাত্রীরা কারও ইন্ধনে এ কাজ করেছে। কিছু শিক্ষক এ কাজে জড়িত বলে মনে হয়। তবে তদন্তে যাদের দোষ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জে একমাত্র বালিকা বিদ্যালয় এটি। ১০ বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকার পর ২০১৯ সালে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। পরীক্ষায় রফিকুল ইসলাম প্রথমস্থান অধিকার করে এবং তাকে যোগাদানের জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু তাকে যোগদানপত্র না দিয়ে গড়িমসি করে কর্তৃপক্ষ। তিনি বাধ্য হয়ে হাই কোট বিভাগে রিট পিটিশন ও কনটেম্পট মামলা দায়ের করেন। পরে হাই কোর্টের নিদের্শনায় ৩বছর আগে তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করনে। যতটুকু জানি তিনি সকল অনিয়ম দূরকরতে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় অর্ধশত বছরের পুরানো স্কুলটির নানা দন্যদশা থাকলেও ছাত্রী হয়রানির এমন অভিযোগ আগে শুনিনি।
প্রধান শিক্ষক অভিযোগের বিষয়ে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আনামত সোহেল এবং বিল্লাল নামে দুইজন খন্ডকালীন শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে। এ দুজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে ঠিক সময়ে আসতো না তাই আমি তাদের বেতন কর্তন করি। তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক যোগদান করার পর তিনি নিজেই এসব প্রশ্নপত্র তার নিয়ন্ত্রনে রেখে তৈরী করতেন। এরফলে ওই দুই শিক্ষকের প্রাইভেট শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
এসব নানাবিধ কারনেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের ফুঁসলিয়ে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে এ আন্দোলন করানো হয়।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ২৬,২০২২//