নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা ।। পিরোজপুরের নেছারাবাদে শ্রেনিকক্ষে বোরখা পড়া ও ধর্ম নিয়ে বাজে মন্তব্যর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
উপজেলার কামারকাঠি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বোরখা পড়া ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করেছেন ওই বিদ্যালয়ের কাকলি রানি মিস্ত্রী নামের এক সহকারি শিক্ষিকা।
এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্য তীব্র চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ওসি,উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এলাকার জনতা তাদের আশ্বস্তে কিছুটা শান্ত হয়ে গেলেও এখনও বিদ্যালয় সংলগ্ন ওই এলাকার মানুষের মধ্য ক্ষোভের সঞ্চার বইছে। এলাকার বেশ কিছু লোক ওই শিক্ষিকা কাকলির দ্রুত বিচার চেয়েছেন প্রশাসনের সামনে। আবার বিষয়টি নিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাহিনূর বেগম বলেন, কাকলি ছাত্রীদের সামনে মেয়েদের বোরখা ও আমাদের ধর্মের নবীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। ছাত্রীরা আমার কাছে বলেছে।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়ে বসি। সেখানে শিক্ষক ছাত্রীদের ডেকে বিষয়টা শুনে প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনিত মৌখিক অভিযোগের অনেক সত্যতা মিলে। আমরা তাৎক্ষনিক এলাকার উত্তেজিত মানুষকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে জানাযায়, শিক্ষিকা কাকলি গত রোববার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর সামাজিক বিজ্ঞান ক্লাশ নিচ্ছেলেন। এসময় তিনি জঙ্গিবাদ চ্যাপটার নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তিনি শ্রেণীকক্ষে উপস্থিত চারজন ছাত্রীর সামনে মুসলমান মেয়েদের বোরখা পড়া নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন। একইসাথে ইসলাম ধর্ম নিয়েও বাজে মন্তব্য করেন। বিষয়টি তাৎক্ষনক্ষিক ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করেন। এতে কর্নপাত না করে ছাত্রীদের বুজিয়ে পাঠিয়ে দেন। পরে ছাত্রীরা বাসায় গিয়ে অভিবাভকদের কাছে বললে তারা জড়ো হয়ে মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। প্রশাসন খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে গিয়ে উপস্থিত জড়ো হওয়া মানুষকে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষনা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোন ধর্মই পছন্দ করেনা। কেহ অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইননুযায়ি তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে সে অপরাধি হলে তাকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেয়া হবেনা। তবে যারা আইন হাতে নিয়ে এসব নিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে দেশের সম্প্রতি শান্তি রক্ষার্থে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল বরন হালদার বলেন, শিক্ষিকা নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। মাধমিক শিক্ষা আইন অনুযায়ি তার বিচার হবে। এ ব্যপারে উধর্বতনদের সাথে কথা হচ্ছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৩ সেপ্টেম্বর-২০২২