এনামুল হক :
নতুন বাংলাদেশে আমাদের সাংস্কৃতিক হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে এসে লালন ফকির, হাসন রাজার অনুষ্ঠান জাতীয় ভাবে পালন করা উচিৎ বলে মনে করি এমন মন্তব্য করেছেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা যেমন রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করছি, নজরুল জয়ন্তী পালন করছি আপনাদেরই কুষ্টিয়ায় অনেক বাংলাদেশের একজন বড় দার্শিনিক, অনেক বড় কবি, আর মাই নতুন বাংলাদেশে লালন ফকির হাসান রাজার অনুষ্ঠান জাতীয় ভাবে পালন করা উচিত বলে মনে করি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োাজনে কুঠিবাড়ি মাঠে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসাবে যুক্ত ছিলেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
অন্যান্যদের মধ্যে সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক, ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মনসুর মুসা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তিন দিন ব্যাপী আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় কবি সাহিত্যিক শিল্পীরা বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন। এ উপলক্ষে কুঠিবাড়ির বাইরে বিশাল মাঠে বসেছে গ্রামীণ মেলা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯১ সালে প্রথম কুষ্টিয়া কুমারখালীর শিলাইদহে ছায়াশীতল নিরিবিলি এ কুঠিবাড়িতে আসেন। এর আগে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এ অঞ্চলের জমিদারি পান। পরবর্তী সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে জমিদার হয়ে আসেন। শিলাইদহে তিনি ১৯০১ সাল পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। জমিদারি পরিচালনার উদ্দেশ্যে আসলেও রবীন্দ্রনাথ পুরোটা সময় মগ্ন ছিলেন সাহিত্য রচনায়।

Discussion about this post