ফুলপুর পৌর শহরের গোদারিয়া এলাকার সাকিব। সাকিবের বাবা সেকান্দার ধলা মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। তখন একমাত্র সন্তানকে নিয়ে দিশাহারা অবস্থা শামসুন্নাহারের। পরিবারটির ওপর নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার।
দুই বেলা খাবারও জোটে না মা ও ছেলের। ফুলপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে সাকিব। যেখানে খাবার জোটানোই দায়, সেখানে পড়াশোনা করার স্বপ্ন অলীক কল্পনা মাত্র। পড়াশোনা বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছিল না বাবাহারা এই সন্তান। তখনই সাকিবের পাশে এগিয়ে আসে শুভসংঘ। মাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করে সাকিবের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেয় শুভসংঘ।
শুভসংঘকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাকিব বলে, ‘বাবার স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে জীবন পরিবর্তন করব। শুভসংঘ সে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। শুভসংঘ প্রতি মাসে যে টাকা দেয়, তা দিয়ে লেখাপড়া ও খেয়ে না খেয়ে মাকে নিয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি। শুভসংঘকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ’
বিধবা শামসুন্নাহার বলেন, ‘আমি ছেলেটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি একদিন সে মানুষ হবে। আপনারা সে দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন আর আমার কোনো চিন্তা নেই। আল্লাহ আপনাদের ভালো করবে। ’ কথাগুলো বলতে বলতে অঝোরে ঝরছিল শামসুন্নাহারের দুই চোখের পানি।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২২//

Discussion about this post