শেখ দীন মাহমুদ,খুলনা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলায় কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সাক্ষী দিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার (১৪ জুলাই) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল কাঠগড়ায় ৩৯জন আসামীর উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
তবে ওই মামলার জাভিদ হোসেন লাকী নামের এক আসামি কারাগারে থাকাবস্থায় অসুস্থতার সুবাদে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার অনুপস্থিতিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীকে জেরা না করার আবেদন জানালে বিচারক আগামী ১৯ জুলাই মঙ্গলবার পরবর্তী সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের পৃথক দু’টি মামলায় কারাগারে থাকা ৪০ জন আসামিকে বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল টাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জন আসামি পলাতক রয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় কলারোয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জব্দ তালিকার সাক্ষী আনছার আলী ও মুক্তিযোদ্ধা শওকত হোসেনকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করানো হয়।
তবে শহীদুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের পর কারাগারের মাধ্যমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসামী জাভিদ হাসান লাকীর অনুপস্থতিতে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করতে অসম্মতি জানালে বিচারক আগামি ১৯ জুলাই সাক্ষীর জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আসামীপক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. শাহানারা পারভিন বকুল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি অ্যাড. মোহম্মদ হোসেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাড, নিজামউদ্দিন প্রমুখ।
জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ জানান, কারাগার থেকে আসামী জাভিদ হোসেন লাকীকে আদালতে না আনার বিষয়টি উর্দ্ধতন কারাকর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন তৎকালীন কলারোয়ার একজন মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে। সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে পৌছালে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরাসহ সন্ত্রাসীরা হামলা ভাংচুর মারপিট বোমা বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি বর্ষণ করে। এতে শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীসহ আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীরা আহত হন।
ঘটনার এক যুগ পর ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা হয়।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//