সাংবাদিকের নামে হলো গায়েবি মামলা
অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারনে সামিরুন খাতুন (২৭) নামে এক প্রসূতি মা ও ৭ মাসের শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করেছে মৃত্যু সামিরুনের স্বামি জাহাঙ্গীর শিকারী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জড়িয়ে কিছু দুষ্কৃতিকারী পক্ষ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক ও উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিঠু নামে মামলা করা হয়েছে।
নিহত সামিরুনের পর্যপ্ত রক্তক্ষরনের সামিরুনের মা হালিমা ও ভাই কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সামিরুনের মৃত্যু হয়। পরে সামিরুনের মা হালিমা ও কামরুল ইসলাম সামিরুনের লাশ বাড়ীতে নিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফন করতে গেলে শ্যামনগরের থানা পুলিশ সামিরুনের লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। জাহাঙ্গীর ১৫ মে ২০২২ তারিখ শ্যামনগর থানায় মামলা করে। যার মামলা নং-২৮।
প্রধান অভিযুক্ত পল্লী ক্লিনিকের পরিচালক ও ডাক্তার ধরাছোয়ার বাইরে হলেও রাজনৈতিক কোন্দলে এই মামলায় কয়েকজন নিরিহ ব্যাক্তিকে জড়ানো হয়েছে।
এব্যাপারে সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিঠু বলেন সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আমার সহধর্মিনী সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচন করে দ্বিতীয় হয়েছে। নির্বাচনী প্রতি হিংসা ও সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি শ্যামনগরের কিছু মাদক সেবনকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তাদের অপকর্ম তুলে ধরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করি। যাহার কারণে তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা ও হত্যার হুমকি অব্যহত রেখেছিল। আমি তাদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় একাধিক জিডি করেছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় চাঁদাবাজি, চুরি,ডাকাতি, মাদক,অপহরণ সহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করার জন্য গায়েবী মিথ্যে মামলায় বাদী পক্ষ কে সৃষ্টি করেছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান বলেন, মামলার ক্ষেত্রে বাদীপক্ষের স্বাধীনতা থাকে। মামলার এজাহারে ব্যক্তির নাম ঠিকানা ছাড়া সে কি করে এগুলো উল্লেখ থাকে না। আমি শুনেছি। তবে কেন এমন হলো বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//মে ১৬,২০২২//