Print Date & Time : 20 April 2025 Sunday 4:12 am

শ্যামনগরে হরিণাচিংড়ি নিয়ে কর্মশালা

মনিরুজ্জামান জুলেট, শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

হরিণা চিংড়ি উপকূলীয় এলাকার একটি পরিচিত নাম। সাধানরত বাগদা চিংড়ির ঘেরে সাথী ফসল হিসেবে এটি উৎপাদন হয়। জেলেরা নদী থেকেও এটি আহরণ করে থাকেন।

কিন্তু এ চিংড়ির একক চাষ করেও লাভবান হওয়া যায় কিনা সেটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয়কুন্ড ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ এনামুলকবির। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের টাইগার পয়েন্টে এই বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড।

কর্মশালায় গবেষকগন জানান যে, চিংড়িচাষীদের জন্য নব দিগন্ত উন্মুচোন করতে পারে হরিণা চিংড়ি। মাত্র ২/৩ মাসে একটি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব, সেক্ষেত্রে হরিণাচিংড়ি বছরে অনায়াসে ৩টি ফসল করা সম্ভব এবং এটি বাগদাচিংড়ির থেকে লাভবান ফসল হতে পারে। তারা আরও জানান যে, এ প্রজাতির চিংড়ি অত্যন্ত টেকসই কষ্ট সহিষ্ণু এবং রোগে কম আক্রান্ত হয়। তাই এটি একক চাষের আওতায় আনা গেলে উপকূলীয় ১৬টি জেলায় চিংড়ি চাষে বিপ্লব আসবে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান, ডেপুটি প্রোজেক্ট ডাইরেক্টর শরজ কুমার মিস্ত্রী এস,সি,এম,এফ,পি খুলনা, গবেষক ডক্টর অভিনাশ মিস্ত্রী,  চিংড়ি ঘের মালিক শেখ আফজালুর রহমান, নাজমুল হোসাইন, মিজানুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব ও সুন্দরবন ক্লাব এর সাংবাদিকগণ এবং বিভিন্ন চিংড়ি চাষী ও ব্যবসায়ীগণ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উক্ত প্রজেক্টের হ্যাচারি কর্মকর্তা নাঈম আহমেদ।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//১৭এপ্রিল ২০২৪//