শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের মৃৎশিল্পীরা।
এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। আগামী ১৪ অক্টোবর শনিবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। দুর্গাপূজার দিন গণনা, মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয়। এই শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হবে আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে রাতভর চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছে প্রতিমা। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে শ্রীমঙ্গলের প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা।
জেলার বিভিন্ন মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রতিমা তৈরির কারিগরা বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়, কাদামাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণ দিয়ে তাদের নিখুঁত হাতের কারুকার্যে তৈরি করছে প্রতিমা।
শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের কেথলিক মিশন রোড়ের পালবাড়িতে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা প্রতিমা তৈরির কারিগর জয়দেব কুমার কুমার পাল জানায়, এ বছর প্রতিমার অর্ডার অন্যান্য বারের চেয়ে বেশি। এখন মাটির ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে এর পরে রংয়ের কাজ করা হবে। এদিকে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই সময় ঘনিয়ে আসায় কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে, যার কারণে সারাদিন কাজ করার পরে রাতেও কাজ করতে হচ্ছে। তবে সবকিছুর দাম বেশি হওয়ায় এখন আর তেমন লাভ নেই। বহু বছর যাবত প্রতিমা তৈরী করে আসছি। তিনি আরও বলেন, লাভ না হলেও বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছেন তিনি। এখন বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়ের দাম অনেক বাড়তি, তাই খরচ বেশি পড়ছে।
শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকার মাষ্টার পাড়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিক ভট্টাচার্য্য বলেন, বাইরে ঘুরতে যাওয়া, পূজার ম-পগুলোতে করোনার জন্য আলোকসজ্জাসহ নানা ধরনের আয়োজন ছিলো না বিগত কয়েক বছর। মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় উৎসবের সব ক্ষেত্রেই আরোপিত ছিলো স্বাস্থ্যবিধির কড়া নির্দেশ। এবার তা আর নেই, আমরা বিগত ৪০ বছর যাবৎ মায়ের পূজার্চনা করে আসছি।
উপজেলা পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্যমতে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা জুড়ে ১৭২ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দুর্গোৎসবের শুরু ও ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে উৎসব শেষ হবে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post