কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেছেন, আবদুর রউফের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইতিহাস চার দশক। একই ধারাবাহিকতায় স্বতন্ত্র ভোট করেন।
প্রতিবার সংসদ নির্বাচনের ৬ থেকে ৮ মাস আগে উনার আবির্ভাব হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে কিছু লোকজনকে সাথে নিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে বেড়ান। নির্বাচনে নির্মমভাবে পরাজিত হয় এবং পরেরদিনেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। আবারও নির্বাচনের আগে আবির্ভাব হয়। বারবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়।
এভাবে ৪০/৫০ ধরে একই কাজ করছে। আমার পূর্ব পুরুষদের সাথে করেছে। এখন বৃদ্ধ বয়সেও লজ্জাহীনভাবে আমার সাথে এমন করছে। মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে নৌকার বিজয় ঠেকানো যাবে না। খোকসা কুমারখালীর মানুষ একইভাবে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দেবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তার দলীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক পেক্ষপট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নৌকার প্রার্থী ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ আরও বলেছেন, স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে ৫২ বছর ধরে খোকসা কুমারখালীর নেতৃত্ব আমরা ধারাবাহিকভাবে দিয়ে আসছি৷ ফলে এই অঞ্চলের মাটি-মানুষের শেকড়ের ভিতর আমাদের অবস্থান। মানুষের সাথে আমাদের আনন্দ, বেদনা, ভালোবাসার মাধ্যমে বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এ বন্ধন ছিন্ন করার জন্য ইতিপূর্বে অনেকেই চেষ্টা করেছে। যারা যড়যন্ত্র করেছে তারাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু হবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা শান্তি শৃঙ্খলা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। আমাদের প্রতিপক্ষ জামায়াত বিএনপি নাশকতার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাই। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তার ঘাড়ের ওপর জামায়াত বিএনপি উঠে সন্ত্রাসী নাশকতা নৈরাজ্য করবে। এটা খুবই স্বাভাবিকভাবে অনুমান করা যায়। এজন্য নাশকতাকারীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত হাতে দমন করবে।
জর্জ এমপি বলেন, নেত্রীর নির্দেশনা পালন করা আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব। যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। আমার সময়কালের আগে বিগত ১০ বছরে খোকসা কুমারখালীতে যে উন্নয়ন হয়নি, আমার সময়কালে তাই হয়েছে। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় আড়াই বছর সমস্ত উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। তবুও আমার সময়কালে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমি অত্যন্ত আশাবাদী এবারও নৌকা বিজয়ী হবে। বিজয়ের পরে খোকসা কুমারখালীর আপামর জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সহ ব্যক্তি ও গৃহস্থালি পর্যায়ের উন্নয়ন সাধিত হবে এবং অত্যন্ত গতিশীলভাবে ধারা অব্যাহত থাকবে। যেভাবে আমরা আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছি। সেই আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশে খোকসা কুমারখালী অনেকাংশে এগিয়ে থাকবে। খোকসা কুমারখালীর সার্বিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবো।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটা বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, অনেক বড় দল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী রাজনৈতিক দল। এই দলের লাখো লাখো নেতাকর্মী রয়েছে। বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন উন্নয়ন আওয়ামী লীগের হাত ধরে হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি মনে করে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বড় হয়ে গেছি, তার উপযুক্ত ফল আগামী ৭ তারিখে পাবে। আওয়ামী লীগ থেকে পরিপুষ্ট হওয়ার পরে পদ পদবী নিয়ে বসে থাকবেন, মোটাতাজা হয়ে মনে করবেন দলের চেয়ে ব্যক্তি হিসেবে বড় হয়ে গেছি। তার জবাব দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের মানুষ প্রস্তুত আছে।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

Discussion about this post