জামায়াত ও ইসলামি দলগুলোর জোট ১৭১ এবং বিএনপি ১১০ আসন পেতে পারে
দেশতথ্য রিপোর্ট :
ঢাকার একজন সিনিয়র সাংবাদিক তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হলে জামায়াত ও ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ১৭১টি সংসদীয় আসন পেতে পারে। বিএনপি এককভাবে পেতে পারে ১১০টি আসন। আওয়ামী লীগ এককভাবে ১৮টি আর জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি রংপুরের একটি সংসদীয় আসন পেতে পারে।
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোটে থেকে নির্বাচন করলেও আওয়ামী লীগের আসন সংখ্যা ১৮/১৯ এর মধ্যেই থাকতে পারে। ১৪ দল আলাদা নির্বাচন করলে কোনো সংসদীয় আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ বর্তমানে ‘বেশি সমালোচিত’ হলেও দলটির মূল ভোটব্যাংকে এর প্রভাব তেমন পড়বে না। আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থকরা দলটির বাক্সেই ভোট দেবেন।
সংসদীয় আসন কম পেলেও ভোটের শতকরা হিসাবে দলটি এগিয়ে থাকতে পারে।
গত ১০ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জরিপটি পরিচালিত হয় অনলাইনে। রাজধানীর বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বারোজন সাংবাদিকের ব্যক্তিগত উদ্যোগে তা পরিচালিত হয়। জরিপে দেশের ১৫টি জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ছয় হাজার লোক অংশ নেন।
বিএনপি এককভাবে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে, বা জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি দলগুলোর জোট হবে- বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংবাদমাধ্যমে জামায়াতের নেতৃত্বে ইসলামি দলগুলোর জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার আলোচনা থেকে জরিপে জামায়াতকে জোটে রাখা হয়।
তবে বিএনপি ও জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে ভোটের চিত্র অবশ্যই ভিন্নরকম হবে।
নির্বাচনের সময় বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ভোটের চিত্র বদলাতে পারে কী না, এমন প্রশ্নও ছিলো জরিপে। উত্তরদাতাদের মধ্যে চল্লিশ শতাংশ বলেছে, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ভোটারের মন বদলাতে পারে।
তবে এ মুহূর্তে দেশের মানুষের ‘সহানুভূতি’ বেশি বিএনপির প্রতি। জরিপে অংশ নেয়া চল্লিশ শতাংশের উত্তর- তারা ইসলামি শাসন দেখতে আগ্রহী। অতীতে ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তারা জামায়াতকে তুলনামূলক দুর্নীতিমুক্ত বলে মনে করেন। দলটি ক্ষমতায় গেলে ‘দুর্নীতি কমতে’ পারে বলে তাদের ধারণা।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য //১১ আগষ্ট, ২০২৪//