রোমান আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধি :শামীম মিয়া (৩২) দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রীর ভরণপোষনের খরচ চালাতেন দিনমজুরের (রাজমিস্ত্রি) কাজ করে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি তিনি।
বাইসাইকেলে করে ছুটে চলতেন রাজমিস্ত্রির কাজে। প্রতিদিন যে আয় হতো তা দিয়েই পরিবারের মুখে আহার তুলে দিতেন তিনি। প্রতিদিন ভোরে উঠেই বেরিয়ে পরতো কাজে।
প্রতিদিনের মতো আজও ভোরে উঠেই বেরিয়েছিলেন সেই কাজের উদ্দেশ্যে। কিন্তু মাঝপথেই থেমে গেলো তার যাত্রা। বিপরীতমুখী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাসের সাথে ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শামীম মিয়ার।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় মেলান্দহের কোনামালঞ্চ (জামালপুর-মাদারগঞ্জ মহা সড়ক) এলাকায়
এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম মিয়া মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে। সে ২সন্তানের জনক ও পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
এঘটনায় একই সাইকেলে থাকা আরও একজন আহত হয়ে জামালপুর জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আনসার আলী বলেন, সকাল ৮টার দিকে শামীম সাইকেল করে রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলো। জামালপুর দিক থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের সাথে ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে আমরা কয়েকজন ধরে গাড়ির নিচ থেকে তাকে টেনেহিচড়ে বের করি। মাইক্রোবাসটি আটক করে ড্রাইভার কে ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ আসে।
নিহতের ছোট ভাই সাদিকুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে বের হয় সকাল সাড়ে ৭ টায় কোনামালঞ্চ রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণ পরেই ফোনে খবর পাই সে এক্সিডেন্ট করছে।খবর পেয়ে এসেই দেখি তার লাশ। আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাই।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে বাইসাইকেল ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়। তবে এ দুর্ঘটনা পরেই মাইক্রোবাসে মালিকের পক্ষ ও নিহত পরিবারের পক্ষ এবং স্থানীয় মেম্বার, মাতাব্বরের পক্ষ থেকে সমঝোতা হওয়ার জন্য বৈঠক বসেন। পরে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকায় সমঝোতা হয় তাদের মধ্যে ।
এসআই জাহিদ জানান, আমরা ৯৯৯এ দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। এসে দেখি একজনের মৃত্যু হয়েছে আর একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের কোন অভিযোগ না থাকায় এ ঘটনার বিষয়টি তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করেছে।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//৫ আগষ্ট-২০২২