মোঃ খায়রুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতাঃ শীতকালীন সবজির ভান্ডারে পরিণত হয়েছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল। সবজি ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি। এসব সবজির মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে শিম।
এই অঞ্চলের কৃষকদের প্রধান ফসল শিম চাষ। বাড়ির আঙিনায়, পুকুরের পাড় কিংবা রাস্তার ধারে চারপাশে মাচা তৈরি করে চাষ হচ্ছে শীতকালীন এই সবজি।
এমন পরিস্থিতি যে, রাজ্যের সব শিম যেন এই ঘাটাইলে!। হাত বাড়ালেই মুঠোয় ভরে নেওয়া যাবে শিম। হরেক রকম ফসলের পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে চাষিরা শিম আবাদ করেছেন। শিম বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। সফলও হয়েছেন চাষিরা। তাদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক।
জানা গেছে, যুগের পর যুগ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এই সবজি চাষে তুলনামূলক খরচও কম। তবে ভালো লাভের সম্ভাবনায় দিন দিন শিমের চাষে ঝুঁকছেন এই এলাকার চাষিরা, বাড়াচ্ছেন চাষের জমিও।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, এবার এই উপজেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ২৯৫ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে।
সাগরদীঘি ও গারোবাজার সবজি হাট ঘুরে দেখা যায়, শিম- ১০০, ফুলকপি ও বাঁধা কপি-৫০, শসা-৬০, টমেটো-১০০ ও গুলবেগুন- ৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মনতলা গ্রামের শিম চাষি মজনু মিয়া বলেন, এবার তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করা হয়েছে। প্রথমদিকে পাইকারি কেজি বিক্রি করেছি ১৩০ টাকা দরে। এখন ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।
লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বাঘআড়া গ্রামের শিম চাষি রইজউদ্দিন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় থোকায় থোকায় শিম ধরতে শুরু করেছে। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম ফলন হওয়ায় কৃষকরা ভালো দামও পাচ্ছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//