এনএসআই কর্মকর্তা বরগুনায় চাকরি করতেন। স্ত্রী ঢাকা থেকে দুই ছেলে ও বোনের মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা উত্তাল সাগরে গোসলে নামার সঙ্গে সঙ্গে সবাই নিখোঁজ হন।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়েছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এন এস আই) এক কর্মকর্তাসহ দুইজন। আজ বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের দুইজনের লাশ শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উদ্ধার করেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ বুধবার দুপুরে ওই এলাকায় গোসল করতে সমুদ্রে নেমেছিলেন এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের ও তার স্ত্রীর বোনের মেয়ে নুর আক্তার জুই (১৭)। এর কিছুক্ষণ পরই তারা নিখোঁজ হন।
ফায়ার সার্ভিস তালতলী স্টেশনের টিম লিডার আহসান হাবিব রাত ৯ টার দিকে বলেন, বুধবার দুপুরে তারা নিখোঁজ হওয়ার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করি। দুপুরের পর পটুয়াখালী থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। এরপর বিকেলের দিকে শুভসন্ধ্যা বীচের দক্ষিন দিক থেকে নিখোজ এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের ও তার আত্মীয়ের মেয়ে নুর আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাখওয়াত হোসেন তপু বলেন, নিখোঁজ দুই ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রসঙ্গত, এনএসআই কর্মকর্তা মোস্তফা কাদের বরগুনায় চাকরি করতেন। তার স্ত্রী সন্তান ঢাকায় থাকেন। ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ঢাকা থেকে দুই ছেলে ও বোনের মেয়েকে নিয়ে বরগুনায় বেড়াতে এসেছিলেন। আজ (১৩ জুলাই) সকালে তারা তালতলীর শুভসন্ধা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন। এসময় সবাইকে নিকে সমুদ্রে গোসল করতে নামেন মোস্তফা কাদের। সাগর উত্তাল থাকায় সাগরে নামার সঙ্গে সঙ্গে ঢেউ এসে সবাইকে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা মোস্তফা কাদেরের স্ত্রী সেলিনা সিকদার (৩৫), ছেলে মাহাতির মোহাম্মাদ (০৯), ও আরেক ছেলে আবদুল করিম (১৬) কে উদ্ধার করতে পারলেও গোলাম মোস্তফা ও স্ত্রীর বোনের মেয়ে জুইকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে বিকেলে নিখোঁজ মোস্তফা কাদের ও নুর আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধারকর্মীরা।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জুলাই ১৩,২-০২২//