Print Date & Time : 22 August 2025 Friday 2:27 pm

সম্মানী বৃদ্ধির দাবিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস

বর্তমানে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি। সম্মানী ভাতা পাই মাত্র দশ হাজার টাকা। আমার অন্য পেশা নেই। এ দিয়ে সংসার চলছেনা। খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা ও স্ট্যাটাস দিয়েছেন এক কাউন্সিলর। 

বুধবার ভোর রাতে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গত শনিবার রাত থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে সোস্যাল মিডিয়ায় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সহযোগীতাও কামনা করেছেন তিনি।

ওই কাউন্সিলের নাম এস এম রফিক। তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড থেকে পরপর তিনবার নির্বাচিত কাউন্সলির। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ কাউন্সিলর এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।

সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই কাউন্সিলর তার অভাব, অনটন ও অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করে  প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেছেন, সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির নির্দেশ প্রদান করা হোক। সুস্থ ভাবে সংসার চালানোর সুযোগ দেওয়া হোক। পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলরদের সবারই এরকম দুরাবস্থা। পৌরসভা একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেই পৌরসভার বরাদ্দ থেকে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।’

গত মঙ্গলবার ফেসবুকে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘ পৌর কাউন্সিলরদের ভাতা দেওয়া বন্ধ করুন। নইলে ভাতা বৃদ্ধি করুন।সন্মানী ভাতার নামে অসম্মানী- মানী না মানবো না। বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলরদের প্রানের দাবী সময় উপযোগী সন্মানী ভাতা বৃদ্ধি করুন।’

এ বিষয়ে কাউন্সিলর এম এম রফিক বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতি। সম্মানী ভাতা পাই মাত্র দশ হাজার টাকা। আমার অন্য পেশা নেই। এ দিয়ে সংসার চলছেনা। খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির জন্য ফেসবুকে দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নজরে আনতে চাই।’

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ২৮,২০২২//