নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালক অসুস্থতার কারণে ছুটিতে। নেই অন্য কোনো চালক, নেই কোনো বিকল্প ব্যবস্থা। ফলে চালকের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে, গ্যারেজে অলস পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্সটি।
এদিকে হাসপাতালে সরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকায় প্রাইভেট মাইক্রো বেশি ভাড়া দিয়ে রোগী পরিবহন করতে হচ্ছে। আর এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা স্বজনরা।
জানা যায়, বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক গত মাসে রোগী নিয়ে বগুড়া যাওয়ার পথে মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে অসুস্থ হয়। এরপর অফিস থেকে এক মাস ছুটি নিয়ে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। আর বিকল্প কোনো চালক বা ব্যবস্থা না থাকায় এম্বুলেন্স সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে বা অন্য কোনো গাড়িতে করে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গরিব ও দুস্থ রোগীদের। “যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ!”
স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুতর রোগীদের স্থানান্তর করা হয় নওগাঁ ও বগুড়া হাসপাতালে। এমনকি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয় রোগীদের । এ সব রোগী পরিবহনের জন্য স্বজনদের যেতে হয় ভাড়া গাড়ির খোঁজে। এ সুযোগে প্রাইভেট গাড়িগুলোর মালিকরা সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেন। বিকল্প ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যা তৈরী হতো না। একজন অসুস্থ হলে অন্য জন সেবা দিতে পারতো বলেও জানান তারা।
জানতে চাইলে ছুটিতে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক মো সেলিম শেখ বলেন, অসুস্থজনিত কারনে আমি বিশ্রামে আছি। আমি অসুস্থ থাকায় চালক সংকট তৈরি হয়েছে। গত ৩২ বছর ধরে আমি একা সেবা দিচ্ছি। মানুষ তো যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। দুইজন চালক থাকলে এই সেবা বন্ধ হতো না। আর দুই তিন মাস পর আমি অবসরে যাবো। তাহলে চালক সংকটের কারনে এতো দামি একটি অ্যাম্বুলেন্সের বিভিন্ন যন্ত্রণাংশ নষ্ট হতে পারে। আমি অবসরে যাওয়ার আগেই চালক যদি না আসে দুস্থ রোগীরা আরো ভোগান্তিতে পড়বে।
বদলগাছী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কানিস ফারহানা বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অ্যাম্বুলেন্স, চালকও একজন। সে অসুস্থজনিত কারণে ১ মাস বেড রেস্টে আছেন। এ বিষয়ে আমি সিভিল সার্জন মহোদয় কে জানিয়েছি। চালক নিয়োগ বিষয়টি আমাদের হাতে নেই।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//