দৌলতপুর প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরকারি কাজে বাঁধা ও হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে ।
এবিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এর কার্যালয়ে উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালিত হয়। উপজেলা কমিটির সভায় স্বাক্ষাতকার গ্রহনের মাধ্যমে যোগ্যতা যাচাই করে প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচন করা হয়। সম্প্রতি ১৩তম ব্যাচের ২ টি ট্রেডে ৫০ জন মহিলার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। অত্র ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থী নির্বাচনের পূর্বে ৭৪ জন প্রার্থীর নামের তালিকা স্হানীয় নয়ন ও নাসিরুল মেম্বর কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। উক্ত তালিকা হতে ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। বাকী তালিকা আমাদের নীতিমালা বহির্ভুত হওয়ায় ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। এরপর ১৬.০১.২০২২ খ্রি. তারিখ বেলা ১১-০০ ঘটিকার সময় ৮/১০ জন উশৃংখল যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশ করে তালিকায় ৭৪ জনের নাম থাকা মেয়েদের কেন বাদ দেয়া হয়েছে তার কৈফিয়ৎ চান । এবং ওই তালিকার সকল মেয়েদের ভর্তি করা না হলে প্রশিক্ষণ চালাতে দেবে না বলে হুমকি প্রদর্শন করেন। এরপর ১৮.০১.২০২২ খ্রি. তারিখে সকাল ৯-০০ টায় অফিসে এসে দেখা যায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৩ টি কক্ষের দরজার তালাগুলিকে বিকল করা হয়েছে । এরপর ২৭.০১.২০২২ খ্রি. তারিখ বেলা ১১-০০ ঘটিকায় আবারও সেই যুবকেরা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনধিকার প্রবেশ করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেন ।কক্ষ তালাবদ্ধ করতে নির্দেশ দেন। আমি তাদেরকে বোঝাবার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা সকল কিছু উপেক্ষা করে আমার সহিত দূর্ব্যবহার করেন। এবং আমাকে হুমকি দেয়।বর্তমানে অফিসে আতংক বিরাজ করছে এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার সকালে অফিসের কর্মচারীরা অফিসে এসে দেখেন যে, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৩ টি দরজার তালা এঅবস্থায় , দৌলতপুরের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল নিজে এসে দেখেছেন।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post