আগামীকাল মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর কিংবদন্তী সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে অতুলনীয় কর্মনিষ্ঠা, দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও পরিশ্রমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ব্যক্তিত্বকে জাতি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।
বিবিসি খ্যাত এই সাংবাদিকের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্বর। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি ১৯৫৬ সালে সাপ্তাহিক সচিত্র সন্ধানীতে। কাজ করেছেন সংবাদ, আজাদ, পাকিস্তান অবজার্ভার, দি সান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা, বাংলাদেশ টাইমস এ। ১৯৮২ থেকে ’৯৫ সাল পর্যন্ত বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে বাংলাদেশ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। স্বৈরাচারী এরশাদের আমলে তাকে কারাবরণ করতে হয়। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন দু’বার। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য আতাউস সামাদ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদকে ভ‚ষিত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খÐকালীন শিক্ষকতা করেছেন। আজকের অনেক স্বনামধন্য সাংবাদিকের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত বই ‘এ কালের বয়ান’। এনটিভি, আমার দেশ-এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেছেন।
তিনি এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক। স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পরই ইন্তেকাল করেন।
আতাউস সামাদের স্মরণে মঙ্গলবার বাদ আসর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/

Discussion about this post