জাতীয় প্রেস ক্লাব গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক ইকনোমিক এডিটর, দৈনিক অর্থনীতির সম্পাদক এবং জাপানের কিয়োডো (কণঙউঙ) নিউজ সার্ভিসের বাংলাদেশ প্রধান বরেণ্য সাংবাদিক জাহিদুজ্জামান ফারুক আর নেই। রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্ব^জন, বন্ধুু-বান্ধব, সহকর্মী এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বাদ আসর জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ কবরস্থানে বাদ এশা দাফন করা হবে।
জাহিদুজ্জামান ফারুক ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে কৃতিত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে ছাত্র অবস্থায় দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন এবং একই পত্রিকায় ইকোনমিক এডিটরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ওভারসীজ করেসপডেন্ট এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) এবং সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া এসোসিয়েশন (সাফমা) বাংলাদেশের সভাপতি ছিলেন। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির পরিচালনা বোর্ডের সদস্য, ইস্টার্ণ হাউজিং সোসাইটির উপদেষ্টা কমিটি সদস্য ও সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের পরিচালক ছিলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এক শোক বার্তায় জাহিদুজ্জামান ফারুকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকতায় এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

Discussion about this post