নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে লালন হোসেন (৩৫)। নিজের নাম পরিচয় গোপন করে নিজেকে আপন নামে পরিচিত করে ভাংড়ীর দোকারে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন ফরিদপুরে। সে অস্ত্রমামলার ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। অপশেষে দীর্ঘ ৯ বছর পরে র্যাব-১২ কুষ্টিয়া সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কোম্পানীর কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
র্যাব-১২ জানায়, ২০১৫ সালের ২১ মে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন মনোহরপুর গ্রামের আনার ডাক্তার এর বাঁশ বাগানের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র নিজ হেফাজতে রেখে অবস্থান করাকালে গ্রেফতার হন উক্ত এলাকার শুকুর আলীর ছেলে লালন হোসেন। এ ঘটনায় লালন হোসেন এর বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-এ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-৫, জিআর-৪২/১৫।
আটক হওয়ার পর প্রায় ০৬ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান লালন হোসেন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এরই মধ্যে মামলায় কুষ্টিয়ার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ কুষ্টিয়ার বিচারক আসামীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
র্যাব আরো জানায়, জামিনের পর থেকে ফরিদপুর চলে যায় এবং সেখানে তিনি ভাঙ্গারীর দোকানে দৈনিক দিন মজুরি হিসেবে কাজ করে। সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে তাকে আপন নামে পরিচয় দিয়ে পলাতক অবস্থায় বসবাস করে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১২ এবং র্যাব-১০ এর যৌথ আভিযানিক দল মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার সময় ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন রেলস্টেশন এলাকা থেকে পলাতক আসামী লালন হোসেনকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া কোম্পানীর কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ জানান, গ্রেফতারকৃত সাজাপ্রাপ্ত আসামী লালন হোসেনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমারখালী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Discussion about this post