সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কামাশপুর আদিবাসী পাড়ার দুলাল এক্কার অসহায় পরিবার প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়ে বসতবাড়ি হারানোর আশংকায় আতংকিত।
ভুক্তভোগী ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত শ্ৰীঃ ষষ্ঠি এক্কার ছেলে শ্রীঃ দুলাল এক্কা(২৪) এ বিষয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কামাশপুর মৌজার হাল খতিয়ান নং ১১ হাল দাগ ৬৫৫ পুকুর পাড়ের ১.৪০ শতাংশ সম্পত্তির মুল মালিক পোরশা উপজেলার জোতদারগণ। সম্পত্তির মালিকদের অনুমতির ভিত্তিতে প্রায় ৫০/৬০ বছর ধরে ১৭/১৮ টি আদিবাসী পরিবার সেখানে বসত বাড়ি নির্মান করে শান্তিপুর্ন ভাবে বসবাস করে আসছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী তসলিম উদ্দীন(৬৭) ও তার ছেলে আবু বক্কার,কাদের, আব্দুল্লাহ,হাবিবুল্লাহ বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি,লোহার রড,হাসুয়া, কুদাল ও বল্লম নিয়ে গত ০৬/০৮/২০২৪ তারিখ বিকেলে তার বসত বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে এবংবাড়ি জোর পূর্বক জবর দখল করার জন্য বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাংচুর সহ বাড়ির কিছু জিনিসপত্র বাড়ি থেকে বের করে ফেলে। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে তার বড় বোন শ্রী বিশ্বমুনী কেরকেটার বাড়ির সমস্ত কিছু ভাংচুর করিয়া প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার সম্পদ ক্ষতি সাধন করে। বর্তমানে ওই প্রভাবশালীগণ তার বাড়ি জোর পূর্বক জবর দখল করার পাইতারা করছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার সময় প্রতিপক্ষের আবু বক্কার সহ সঙ্গীয় ৩/৪ জন উৎশৃঙ্খল উগ্র প্রকৃতির লোকজন বাড়িতে এসে তাকে সহ পরিবারের সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজ ও ভয়-ভীতি সহ খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে। তারা এ সময় খাবার পানির ট্যাপের সংযোগ কেটে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী দুলালের পরিবার সহ গ্রামের আদিবাসী পরিবার গুলো আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
তারা বসতবাড়ি রক্ষা ও ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের তসলিম উদ্দিনের সাথে কথা হলে, তিনি জানান যে ওই সম্পত্তির প্রকৃত মালিক পোরশার জোতদার শাহুর নিকট থেকে তিনি সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। আদিবাসীরা তার ক্রয়কৃত ওই সম্পত্তির উপর বসবাস করছে। স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিবর্গের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদেরকে অন্য জায়গায় বাড়ি করার ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে। ওই গ্রামের সকল আদিবাসী পরিবার সে সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও দুলাল তা অমান্য করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল মালেক অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাস্থলে এস আই মিজানুর রহমান গিয়ে ছিলেন উভয় পক্ষকে নিয়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে।

Discussion about this post