সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: “মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াওনা একবার ভাই, ওই ফুল ফোটে বনে যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই”।নব কৃষ্ণ ভট্টাচার্য কবির এই মহান উক্তিটি কাজে লাগিয়ে মৌমাছিরা যখন ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত ঠিক সে সময় মৌমাছিকে কাজে লাগিয়ে মধু সংগ্রহের দল (মৌয়াল)রা মৌমাছির বাক্স তৈরি করে মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনি দৃশ্য দেখা গেছে নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের এক সরিষা ক্ষেতে। দিনের পর দিন তারা মাঠের মধ্যে তাঁবু খাটিয়ে মধু সংগ্রহ করে চলেছে এবং সেখান থেকেই বিভিন্ন পাইকার ও খুচরো ভাবে গ্রামবাসীদের নিকট মধু বিক্রি করছেন।
এবিষয়ে কথা হয় পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা থেকে আসা মৌয়াল মনির হোসেন এর সাথে। তিনি জানান প্রতিবছর তিনি তার দলবল নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৌ বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহ করে বেড়ান। বর্তমানে তার দলে তিনি ও তিন জন সহযোগী রয়েছেন। ১৫দিন যাবত তিনি ওই মাঠে মধু সংগ্রহ করেছেন। প্রতি সপ্তাহে তিনি প্রায় ১০মন মধু আহরণ করে থাকেন। এর পর তিনি প্রতি কেজি মধু ৩০০টাকা দরে বিক্রি করেন । বিভিন্ন ফল মুল চাষাবাদে কৃষকগন এখন কীটনাশক স্প্রে করে থাকেন তাই সব ধরণের ফুল হতে মধু সংগ্রহ করা যায়না। অতীতে প্রায় সারা বছর মৌ বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহ করা যেত কিন্তু এখন তা যায়না। বছরের অধিকাংশ সময় মৌমাছি গুলিকে বাসায় রেখে চিনি ও গুড় খাইয়ে বেঁচে রাখতে হয় এতে অনেক অর্থ ব্যায় হয়ে থাকে। তবে সংগৃহীত মধু দিয়ে তাদের ৪টি পরিবার সুন্দরভাবে সারা বছর খেয়ে পরে থাকতে পারেন বলে তিনি জানান। বর্তমানে তার মধু সংগ্রশালায় ২৩০টি মৌ বাক্স রয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এল//

Discussion about this post