সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৭০ পেয়ে ব্যতিক্রমী কৃতিত্ব দেখিয়েছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার শিক্ষার্থী লামিয়া জান্নাত।
সে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত জেলারও সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর।
সাধারণ কৃষক পরিবারের মেয়ে লামিয়া জান্নাত। তার বাবা মো. রেজাউল করিম পেশায় একজন কৃষক, মা একজন গৃহিণী। ছোট একটি পরিবারে বেড়ে ওঠা লামিয়া দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড়। বর্তমানে তারা সাপাহার উপজেলা সদর এলাকায় বসবাস করলেও মূল বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বড় মহারন্দী গ্রামে।
শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই লামিয়া ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী, পরিশ্রমী ও স্বপ্নবাজ। এবার সে নিজের অধ্যবসায়, আত্মবিশ্বাস ও অধ্যয়নকে পুঁজি করে অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেছে।
তার স্বপ্ন একজন দক্ষ, মানবিক ও সৎ চিকিৎসক হওয়া। নিজের কৃতিত্বের পিছনে পরিবার ও শিক্ষকদের অবদানের কথা গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে লামিয়া জান্নাত বলেন,
আমি চাই ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে। সকলের কাছে দোয়া চাই, যেন আল্লাহ আমাকে সেই যোগ্যতা ও সুযোগ দেন।”
লামিয়ার বাবা মো. রেজাউল করিম বলেন, “আমি একজন কৃষক মানুষ। আমাদের সাধ্যের মধ্যে থেকে যতটা পেরেছি মেয়ের পড়াশোনার সুযোগ করে দিয়েছি। আল্লাহর রহমতে সে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। এখন দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই, যেন ও সুস্থ থেকে তার স্বপ্নপূরণ করতে পারে।”
সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও লামিয়ার প্রাইভেট শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন,
“লামিয়া অত্যন্ত মনোযোগী ও নিয়মিত পড়ুয়া ছাত্রী। তার এমন সাফল্যে আমরা গর্বিত। সে ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জ্বল করবে, এই বিশ্বাস রাখি।”
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. সাজেদুল আলম বলেন,
এটা আমাদের স্কুলের জন্য এক গর্বের অর্জন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে। লামিয়ার সাফল্য আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
লামিয়া জান্নাত ও তার পরিবার দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন—যাতে সে সুস্থ থেকে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে এবং ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে।

Discussion about this post