বরগুনায় এক সাবেক সেনা সদস্যকে মারধর করে আটঁকিয়ে জোরপূর্বেক ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মশিউর রহমানের বাসায় বসে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আদনান ও তার লোকজনে বিরুদ্ধে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ। ওই সেনা সদস্য তালতলী উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৯ সালে অবসরে আসেন।
লিখিত সংবাদ সম্মেলন মহসিন বলেন ২৬ তারিখ সোমারার রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ দিকে সময় বরইতলা ফেরিতে উঠি। ওদিন বামনায় সম্মেলন থাকায় বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন নেতাকর্মী বিভিন্ন গাড়ি সহ উক্ত ফেরিপার হচ্ছিলাম।
ফেরিতে আমাকে দেখে ১০-১৫ ছেলে আমাকে ও আমার ভাই আল-আমিনকে প্রচন্ড মারধর করে। আমি চিৎকার করে বাঁচতে চাইলে আমার ভাই উপস্থিত হন। এরপর আমি আর কোন কিছু দেখতে ও বলতে পারিনি। তাদের মারধরে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে রাত প্রায় ২.৩০ মিনিটের সময় আমার জ্ঞান ফিরলে আল আমিন আমাকে বলেন আমরা বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মশিউর রহমান শিহাবের বাসায় আছি।
কিছুক্ষণ পর উক্ত বাসায় সোহাগ, সিরাজ ,অনিক সহ অনেক পোলাপান উপস্থিতি হয়। তার বাসায় বসে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ও আমার ভাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেন।
বরগুনা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আমার দেনা পরিশোধ করা এবং ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য তাকে ৫০% শেয়ারে চুক্তিবদ্ধ হই। পরে আমার ড্রেজার তালতলী নিয়া যাই। তার সাথে চুক্তি হওয়ার পরে দুই মাসের মত তালতলীতে ছিল। তারপর একদিন রাতে সিরাজের মাধ্যমে আমার ড্রেজার খানা তালতলী থেকে রাতের আধারে বরগুনায় নিয়ে আসে।
জুবায়ের আদনান অনিকের সাথে যে শর্তে ৫০% শেয়ার হই তার কোন কিছুই বাস্তবায়ন করেনি। যার কারনে আমার পাওনা দারেরা আমার বিরুদ্ধে আমার দেয়া চেক দিয়ে মামলা করে। প্রায় ১৪ মাস পর খোঁজাখুঁজি করে লোক মারফত জানতে পারি ড্রেজার টি মঠবাড়িয়াতে এবং ড্রেজারের নাম পরিবর্তন করে মেসার্স সুহা এন্টারপ্রাইজ নামে পরিচালিত হচ্ছে । উক্ত ড্রেজারের ষ্টাফদের কাছে জানতে চাইলে তাহারা বলে এই ড্রেজারের মালিক ইউসুফ সোহাগ।
এ বিষয় জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মশিউর রহমান বলেন, আমার বাসায় বসে কোনো স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনিকের সাথে মহসিনের ড্রেজার নিয়ে ঝামেলা ছিলো, তাই আমরা সালিস ব্যবস্থা করে ছিলাম। সেখানে এ রকম কোনো ঘটনা ঘটে নাই। সোমবার রাতে মহসিনকে বরইতলা ফেরিতে মারধর করা হয়েছে। অনিকর আমার বাসায় নিয়ে এসেছে যে সুপারিশ করেছেন ওদের পক্ষে,এখন আপনি সমস্যার সমাধান দেন। এখানে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যানও উপস্থিত ছিলন।
অভিযোগের বিষয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক জুবায়ের আদনান বলেন, সাদা ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়নি। বৈঠক করে লেখা ষ্টাম্প স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মশিউর রহমান কাকার বাসায় বসে বৈঠক হয়েছে। তবে কোনো মারধর করা হয়েছে না তা তার জানা নাই। জুবায়ের আরো বলেন মহসিনের সাথে আমার শেয়ারের ড্রেজার ব্যবস্থার চুক্তি হয়। সে অনুসারে আমি তাকে ৬ লাখ টাকা পাইপ কেনার জন্য দেই। নগদ ৫০ হাজার টাকা দেই। এর পর আর তার কোনো খবর নাই। অনেক চেষ্টার পর আমি তাকে ধরে নিয়ে আসি। এরপর সালিসের মাধ্যমে আমাকে ৯ লাখ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ড্রেজার বিক্রি করে আমাকে টাকা নিতে বলে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//সেপ্টম্বর ২৯,২০২২//