১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি সকল অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব এলাকায় এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কারী অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্য কল্যাণ কমিটি এই মহা সমাবেশের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অনারারী ক্যাপ্টেন (অবঃ) মোঃ ফজলুল হক (জামালপুর)।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ওহিদুজ্জামান (শাফিউল)।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সার্জেন্ট (অবঃ) মোঃ রফিজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে এবং মোঃ জাহিদ হোসাইন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র অফিসার (অব) মোঃ আব্দুস সামাদ (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট (অব) মোঃ শাহজাহান (বরিশাল), সার্জেন্ট (অব) মোঃ মিজানুর রহমান (দিনাজপুর) ওয়ারেন্ট অফিসার (অব) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)।
বক্তারা বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বি,এম,এ (কুমিল্লা)সম্মেলনে উক্ত সকল সামরিক সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষনা দেন। অথচ আজ অবধি সামরিক সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সামরিক সদস্যদের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ওহিদুজ্জামান (শাফিউল) বলেন, পাকিস্তান কারাগারে বন্দি সকল (অব:) সামরিক সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবি জানান।
একইসাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের দৃষ্টি আকর্ষণ পুর্বক প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় -কে বিষয়টি খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি সকল অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্য ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জা//দৈনিক দেশতথ্য//অক্টোবর ০৮, ২০২২//

Discussion about this post