পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দুস্থদের জন্য সরকার প্রদেয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা আত্মসাতে উপকারভোগীদের পিনকোড নম্বর চেয়ে মোবাইল ফোনে কল করে বিভ্রান্ত করে তুলেছে। কয়েক বছর ধরে এমন অবস্থা চললেও বর্তমানে এ অবস্থা চরম আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই উপকারভোগী কোন কোন মানুষের কাছে পিনকোড চাওয়ার ঘটনা ঘটছে। প্রতারকরা বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচয় দিচ্ছে। এমনকি তারা একাধিক মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে।
কলাপাড়া পৌরশহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অধিবাসী শিশির চক্রবর্তী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে মুজাহিদ পরিচয়দানকারী (মোবাঃ ০৯৬৩৮৯৩৩৯১২৭) এক ব্যাক্তি তার পিতা কালাচাঁদ চক্রবর্তীর বয়স্কভাতার পাশ বইয়ের পিন নম্বরটি চেয়েছেন। বয়স্কভাতা আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ওই প্রতারক উল্লেখ করেন। তবে শিশির চক্রবর্তী বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্ট অফিসে তিনি যোগাযোগ করবেন বলে প্রতারক মুজাহিদকে জানিয়ে দিয়েছেন।
খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবল চন্দ্র কর্মকার জানান, তাকে এক সপ্তাহ আগে প্রতারক চক্রের এক সদস্য মোবাইল করে তার বয়স্কভাতার পিন নম্বরটি চেয়েছেন।
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের অধিবাসী মোজাম্মেল হক জানান, তার মোবাইল নম্বরে এক প্রতারক কল করে তার বয়স্ক ভাতা আগের তুলনায় বেড়েছে বলে পিনকোড নম্বর চেয়েছেন । তাকেও স্থানীয় সমাজসেবা অফিস থেকে হিসাবরক্ষক পরিচয় দিয়ে ফোন করেছেন। তবে তিনি একটি মোবইল ফোনের দোকানে গিয়ে বিষয়টি প্রতারনা বলে জানতে পেরেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রতারনার বিষয়টি আমরা জেনেছি। তবে সকল মিটিংয়ে আমরা উপকারভোগীদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। এমনকি থানায় সাধারন ডায়েরী করারও পরামর্শ দিচ্ছি।
খালিদ সাইফুল // দৈনিক দেশতথ্য // ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Discussion about this post