মুহাম্মাদ রুমান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুটি কিশোর গ্যাং “টেনশন গ্রুপ” এবং “ডেভিল এক্সো” গ্রুপের ১৭ সদস্য আটক করেছে র্যাব-১১।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে আদমজী নগর র্যাব-১১ এর অফিস থেকে অধিনায়ক লে: কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার (২৪ মার্চ) দিনগত রাতে মিজমিজি মাদ্রাসা রোড কবরস্থান এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়। দুই গ্রুপের দুই দলনেতা দুই ভাই সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সীমান্ত (২২) ও সারিব (১৯)।
র্যাব-১১ জানায়, আটককৃত “টেনশন গ্রুপ” এবং “ডেভিল এক্সো” গ্রুপের রাইসুল ইসলাম সীমান্ত “টেনশন গ্রুপ” এর দলনেতা এবং সারিব “ডেভিল এক্সো গ্রুপ” এর দলনেতা।
আটককৃতরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহণে নিয়মিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে। তারা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
আটকৃত অন্য ১৫জন হলো- মো. তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), আ. রহমানের ছেলে মো. হুমায়ন হোসেন (২৪), মো. আমিন উদ্দিনের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৬), খোকন শেখের ছেলে মো. রাব্বি (২৫), মনিরুল ইসলামের ছেলে প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক (২৯), হারুনের ছেলে মো. আশিক (১৯), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. নাঈম (১৯), আজাদ শিকদারের ছেলে মো. তুহিন হোসেন (১৮), খন্দকার মোহাম্মদ নুহর ছেলে রোসমান (১৯), বাক্কির ছেলে মো. শাহাদৎ (১৯), তাজুল ইসলামের ছেলে মো. সৌরভ (২০), নুর নবীর ছেলে মো. মাহিন (২০), ইমান আলীর ছেলে মো. তুষার (২০), নবীর হোসেনের ছেলে মো. সৌরভ (১৯) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আরিফ (১৯)। তারা সকলেই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা
র্যাব জানায়, গত বছরের ৩১ আগস্ট এবং ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নাসিক এলাকায় এলাকায় মধ্যরাতে পরিচিত গ্যাং টেনশন গ্রুপের নেতা সীমান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও তাদের সক্রিয় এলাকায় উঠতি বয়সি ছাত্রদের টার্গেট করে মাদকদ্রব্য সেবনে প্ররোচিত করে তাদের গ্রুপে যোগদান করিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
র্যাব আরও জানায়, ‘টেনশন গ্রুপ’র দলনেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও সদস্য মো. প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক এবং ‘ডেভিল এক্সো’ গ্রুপের সদস্য মো. আশিক ও মো. নাঈমের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
দৈনিক দেশতথ্য//এইচ//

Discussion about this post