সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের নির্মাণের রড ডাকাতির ঘটনায় ধাড়ালো চাকু ও কাটারসহ আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকু্ন্ডা মুসলিম নগর আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাদের দেয়া তথ্যে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘুরি স্কুলপাড়া এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রেখে দেয়া লুণ্ঠিত ৬টন রড উদ্ধার করে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক- সার্কেল) নাজমুল হাসান গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান । এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃতরা হল- পটুয়াখালীর শেয়াকাঠির মান্নাফের ছেলে কামাল (৪০), শরীয়তপুরের ডামুড্যার মৃত ফজলে করিম বেপারীর ছেলে হারুন বেপারী (৪৫), গাজীপুর টঙ্গীর সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান মানিক (৩৫) এবং পুবাইলের আহছান উল্লাহ সরকারের ছেলে রোমাজ্জল হোসেন জামাল (৩৭)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জের ধনকুন্ডা পশ্চিমপাড়া বায়তুল আকসার জামে মসজিদের সামনে থেকে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ডাকাত মসজিদের নির্মাণ কাজের জন্য রাখা ৩ টন রড নৈশ প্রহরীদের হাত পা বেঁধে ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ আইয়ুব আলী সরদার।
ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ডাকাত কামাল ও হারুন বেপারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের তথ্যমতে কেরানীগঞ্জের তেঘুরি স্কুলপাড়া এলাকা থেকে লুণ্ঠিত ৬ টন রড, ১টি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট- ০৬-০২৭৭), ২টি ধারালো চাকু, ১টি কাটার উদ্ধার করা হয়।
এসময় ডাকাতির রড ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত সাইদুর রহমান মানিক ও রোমাজ্জল হোসেন জামালকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ডাকাত কামাল ও হারুন বেপারী স্বীকার করে যে, তারা সহ আরো ৫ জন ডাকাতির সাথে জড়িত। ডাকাতরা ৬ জুন সিদ্ধিরগঞ্জ কালুহাজী রোড এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের নীচ তলা থেকে আলতাফ হোসেনের পার্টনার মাসুদের হাত-পা লুঙ্গি ও গামছা দিয়ে বেঁধে ৪ টন রড ডাকাতি করে। ডাকাতি করা রড দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘুরি স্কুলপাড়া এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রেখে দেয়।
এ ছাড়া ৭ আগস্ট ওয়াপদার পুল এনায়েতনগর নীট ফেয়ার গার্মেন্টসের সামনে থেকে নৈশ প্রহরীদের হাত পা রশি দিয়ে বেধে ৮ টন রড ডাকাতি করে পূর্বের ন্যায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কেরানীগঞ্জের একই স্থানে রেখে দেয়। সেখান থেকে কিছু রড বিক্রির টাকা ডাকাতরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। ডাকাতির ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান আরো জানান, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ গাজীপুর, ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় একই কায়দায় ডাকাতি করে আসছিল। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//আগস্ট ১৭,২০২২//