সিলেট অফিস:
সিলেটে ইজারার আগেই গরুর হাটের দখল নিয়ে দুপক্ষের মারামারিতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে সিলেট নগরীর মাছিমপুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবছরই কুরবানির গরুর হাট বসে মাছিমপুর মাঠে। এবারও জেলা পরিষদ দরপত্র আহ্বান করে। তবে ইজারার আগেই মাঠদখলে নেমেছেন ৪ জন। এরমধ্যে তিনটি পক্ষ বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরের বাহিনী। আরেকটি সিলেটের বহুল আলোচিত মামা খন্দকারের বাহিনী।
ইজারার আগেই এ চার বাহিনী শুক্রবার গরুর হাটের মাঠদখলে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। লাঠিসোঁটা নিয়ে মাঠে নামার পর একে অন্যের বৈধতা খুঁজতে থাকে। এ নিয়ে ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর শারমিন আকতার রুমির স্বামী মনজু মিয়ার পক্ষ প্রথমে গালাগাল ও হুমকি, পরে হাতাহাতি-মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের ভাই হারুন রশিদ খসরু, কাউন্সিলর রুমির স্বামী মনজু মিয়া, দুই দেবর দিপু ও অপি আহত হন। আহতদের মধ্যে হারুন রশিদ খসরুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ বলেন, আমরা নই, তারাই আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেছে। ইজারার আগেই তারা পুরো মাঠ দখলে নিতে চায়।
কাউন্সিলর রুমির স্বামী মনজু মিয়ার দাবি, ইজারার আগে আমরা চারজন মাঠে অবস্থান নিয়েছি। সবাই বাঁশ বেঁধে মাঠ তৈরি করছি। কিন্তু হারুন রশিদ খসরু আমাদের মাঠে নামতে বাধা দেন। তিনি জানান, মাঠে শুধু তিনি নন, বিএনপি নেতা ফারুক আহমদের ছেলে বাবলু ও মামা খন্দকারের ছেলে ইফতেখারও অবস্থান নিয়েছেন। একমাত্র কাউন্সিলর মোস্তাক এখানে সমস্যা করছেন, বাকি সবাই মিলেমিশে আছি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার চৌধুরী জানান, মাঠের কেউই বৈধ নয়, সবাই অবৈধ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এদিকে জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, রোববার ইজারা হতে পারে।
দৈনিক দেশতথ্য// এইচ//