সিলেট অফিস: সিলেটের বিশ্বনাথে ট্রাকবোঝাই ২২০ বস্তা চিনি জব্দ করেছে থানা পুলিশ। গত রোববার (২৩ জুন) রাতে ‘বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কে’ বাইপাস রোড়সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পের সামন থেকে এ চিনিবোঝাই ট্রাক আটক করে বিশ্বনাথ থানার এএসআই আবু সালেহ। ২২০ বস্তা চিনি জব্দের পর থেকে সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
কারণ ছাতকে চিনির কোনো ফ্যাক্টরি বা মোড়কজাত প্রতিষ্ঠান নেই। তাহলে কীভাবে চিনির বস্তার গায়ে ছাতকের ঠিকানা থাকে। এমন প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে।নেটিজেনরা এটিকে চিনি চোরাচালানের অভিনব কায়দা হিসেবে উল্লেখ করছেন। ফলে থানা পুলিশ পড়েছে বিপাকে। ট্রাক ছেড়েও দিতে পারছে না আবার মামলাও নিতে পারছে না। সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ট্রাকের মধ্যে থাকা ২২০ বস্তা চিনি থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে জব্দ করা সেই ট্রাকে থাকা চিনি বস্তার গায়ে বাজার ও মোড়কজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম রয়েছে ‘সুবহা ফুড প্রোডাক্টস’ নামের এক প্রতিষ্ঠানের। আর ওই প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা রয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের থানা রোড় এলাকার। আর এ জন্যই থানা পুলিশ এই চিনি ভারতীয় অবৈধ চিনি কিনা তা নিশ্চিত হতে পারছে না।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একসঙ্গে তিনটি ট্রাক পণ্যবোঝাই হয়ে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পৌর শহরের কারিকোনা গ্রামের বাইপাস সড়কের পার্শ্ববর্তী পেট্রোল পাম্পের সামনে আটকায় থানা পুলিশ। এরপর পুলিশ তল্লাশি করে দুটি ট্রাকে চাল দেখে সেগুলোকে ছেড়ে দেয়। আর ওই ট্রাকে চিনি হওয়ায় সেটি জব্দ করে থানা নিয়ে আসে।
জানা গেছে, ভারতে থেকে অবৈধ পথে আসা চিনি সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে বিভিন্ন গাড়িতে করে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত সড়ক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ‘লামাকাজী-রামপাশা-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়ক’ ব্যবহার করে আসছেন। মাঝে দু-একবার বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ভারতীয় চিনি জব্দ করলেও বেশিরভাগ সময়ই ওই সড়ক দিয়ে পাচারকারীরা ভারত থেকে আসা চিনির সঙ্গে সঙ্গে শাড়ি কাপড়, কসমেটিক্স পরিবহন করছেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, চিনিবোঝাই ট্রাক জব্দের পর, চিনির মালিক দাবিদার পক্ষের লোকজন আমাদেরকে কিছু কাগজপত্র দিয়েছেন। একটি বার্তার মাধ্যমে আমরা সেই কাগজপত্রগুলো তদন্তের জন্য ছাতক থানায় প্রেরণ করেছি। সেই রির্পোট আসার পর পরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা নিয়েই পরবর্তী করণীয় ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
খালিদ সাইফুল, দৈনিক দেশতথ্য, ২৫ জুন২০২৪

Discussion about this post