Print Date & Time : 4 May 2025 Sunday 12:06 pm

সিসা তৈরির কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কোনো ধরণের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ভাঙা হচ্ছে পুরাতন ব্যাটারি, আর এ ব্যাটারি পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে সিসা।

উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের খয়রত-নিকলী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় নেতা মার্কেটে স্থাপন করা হয়েছে সিসার কারখানাটি।

কারখানায় ব্যাটারির অ্যাসিডের তীব্র গন্ধে দুষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। ব্যাটারি পুড়ানোর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকা। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আশপাশের মানুষ ও গবাদিপশু।
অবাধে মরছে হাঁস-মুরগী এবং গবাদিপশু। এছাড়া কারখানার বর্জ্য যাচ্ছে হাওর-জলাশয় ও আবাদি জমিতে। বিপন্ন হচ্ছে মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী। ফসলের জমিতেও পড়ছে এর ক্ষতিকর প্রভাব।

শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের খয়রত এলাকায় গুনধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন এ অবৈধ ব্যাটারি পোড়ানো কারখানা ও নিষিদ্ধ সিসা গলানো বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

এ মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক হেদায়েত উল্লাহ।

কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল এবং সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হাসান।
বক্তব্য রাখেন, গুনধর ইউনিয়ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবু সজিব, সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান আরজু ফকির, সাবেক সভাপতি ইকরামুল হক, উপদেষ্টা ফেরদৌস মিয়া, সদস্য সিরাজুল ইসলাম, এস এম মাসুম, তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, কারখানায় দিনের আলোয় শ্রমিকেরা ব্যাটারি ভাঙার কাজ করলেও রাতে বেশ কয়েকটি বড় চুল্লিতে ভাঙারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হয়। বিষাক্ত সালফিউরিক অ্যাসিডসহ ব্যাটারির ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় যত্রতত্র। ফলে জলাশয় ও আবাদি জমিতে এর বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী।

কারখানার ধোঁয়া থেকে আশপাশের গ্রামের কোমলমতি শিশু, শিক্ষার্থী ও বয়স্করা শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগের শিকার হচ্ছেন। তারা বলেন, প্রায় বছরখানেক আগে অবৈধ সিসা কারখানাটি তৈরি করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে কারখানাটি একবার বন্ধও করে দিয়েছিল। এরপর মাঝে কিছুদিন বিরতি দিয়ে কয়েক মাস ধরে সেখানে আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে পরিবেশ বিধ্বংসী ও অবৈধ কারখানাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

দৈনিক দেশতথ্য//এইচ/