Print Date & Time : 5 May 2025 Monday 8:28 pm

সীমান্তে ভারতীয় সাইকেলসহ ব্যবসায়ি আটক

জেলা সদরের সাঁকোয়া মোড় হতে গতকাল রাত ১২ টায় ভারতীয় হিরো কোম্পানির ৯টি বাইসাইকেল পুলিশ আক করে। এ সময় শফিকুল ইসলাম (৩৭) নামে এক সাইকেল ব্যবসায়িকে আটক করে। পরে আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় মুছলেকা নিয়ে সাইকেল সহ ব্যবসায়িকে সদর থানা পুলিশ ছেড়ে দেয়।

জানা গেছে, জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের দিদার মাহমুদের পুত্র শফিকুল ইসলাম (৩৫) এর বিসমিল্লাহ সাইকেল ষ্টোর নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির হেড কোয়াটারে ১০৮টি বাইসাইকেল সরবরাহের ঠিকাদারী কাজ পায়।

ইতোমধ্যে নমূনা স্বরূপ ভারতীয় ২টি হিরো বাইসাইকেল সরবরাহ করেছে। আজ মঙ্গলবার ৩৬টি বাইসাইকেল সরবরাহের কথা রয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে সীমান্তের চাপারহাটের বাবুরহাট হতে অটোরিক্সায় ৯টি সাইকেল আনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পাচার করে আনা ভারতীয় সাইকেল গুলির তথ্য পুলিশ ও সংবাদ কর্মীকে দেয়।

পরে পুলিশ সাইকেলসহ ব্যবসায়িকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক ব্যবসায়ি শফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিক পুলিশ, উপস্থিত জনসাধারণ ও সংবাদকর্মীদের ভারতীয় বাইসাইকেল আমদানির কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তিনি জানান, বাইসাইকেল গুলি ১৫ বিজিবিকে সরবরাহ করতে আনা  হয়েছে। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বাবুর হাটের হক সাইকেল ষ্টোরের ক্যাশম্যামো তার সাথে ছিল। কাষ্টমস্ সুপার শাহাবুতিদ্দন জানান, দীর্ঘদিন বন্দরে চাকরি করেছি। কখনো ভারতীয় হিরো বাইসাইকেল আমদানি করতে দেখিনি। বাংলাদেশের তৈরি বাইসাইকেল  বিদেশে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রফতানি হতে দেখেছি। চায়না হতে সাইকেল পার্স এনে এদেশে এ্যাসেম্বল হয়। ভারতীয় সাইকেলের স্পেয়ার যন্ত্রাংশ  আমদানি হয়। নতুন প্যাকেট বাইসাইকেল আমদানি হয় না। সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম জানান, সৈয়দপুরের বিউটি বিল্ডাস নামের প্রতিষ্ঠান ভারতীয় বাই সাইকেল গুলো আমদানি করেছে। তারা ইমেইলে কাগজপত্র পাঠিয়েছে। তাই মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে সীমান্তের সাধারণ মানুষের অভিযোগ ভারতীয় হিরো কোম্পানির বাইসাইকেল দেদারছে ওপার হতে পাচার হয়ে আসছে।

জেলার হাটবাজর সহ সবখানে প্রকাশ্য বিক্রি করতে দেখা যায়। দেশীয় বাই সাইকেল শিল্প উদীয়মান সম্ভাবনাময়ি শিল্প। বিজিবির মত একটি প্রতিষ্ঠান বিকাশমান দেশীয় বাইসাইকেল শিল্পকে পৃষ্টপোষকতা না করে ভারতীয় কোম্পানিকে  প্রমোড করা হচ্ছে। এতে কওে দেশীয় শিল্পবিকাশে ব্যাঘাত ঘটবে। পুলিশের কাছে দেখানো কাগজপত্র আদতে সঠিক কিনা সেটা পুলিশ কিভাবে বুঝল। সংশ্লিষ্ট দপ্তওে যাচাইকরে তারপর আদালতের মাধ্যমে  দিত পারতেন।

এবি//দৈনিক দেশতথ্য//অক্টোবর ০৪,২০২২//