Print Date & Time : 10 May 2025 Saturday 11:45 pm

সুন্দরগঞ্জে ১৭ ঘন্টা পর শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ৮ম শ্রেণি ছাত্র সিহাব মিয়া (১৪) নিখোঁজের ১৭ ঘন্টা পর শুক্রবার দুপুরে তিস্তা নদীর খেয়াঘাটে তার লাশ পাওয়া গেছে।
সিহাব বেলকা ইউনিয়নের পূর্ব বেলকা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জে.জে পরিবহনের মালিক আনিছুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত দশটার সময় বেলকা চৌরাস্তা মোড়রের আনিছুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে সিহাব বাড়ির উদ্দেশ্যে রহনা দেয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হতে বাড়ির দুরত্ব ৫০০ মিটার। রাত এগারোটার সময় আনিছুর বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় ছেলে বাড়িতে নেই। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। এরপর থেকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। শুক্রবার সকাল এগারোটা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় থানায় জিডি করে বাবা। ইতিমধ্যে সিহাব নিখোঁজের খবরটি ছড়িয়ে পরে গোটা উপজেলায়। এরই এক পর্যায় দুপুরে লালচামার তিস্তার খেয়াঘাটে একটি শিশুর মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুঁটে গিয়ে সিহাবের লাশ সনাক্ত করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরুতহাল রির্পোট তৈরি করে এবং লাশ ময়না তদন্তের মর্গে পাঠায়।
সিহাবের জ্যোঠা আলম মিয়া জানান, রাত দশটার সময় দোকান থেকে বাড়িতে আসার জন্য রহনা দেয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। সিহাবের মুত্যুর ব্যাপারে তারা কোন কারণ খুজেঁ বের করতে পারছে না।
লালচামার খেয়াঘাটের প্রত্যক্ষদর্শী মন্টু মিয়া জানান, শিশুটির লাশ নদীর ধারে পরে ছিল। পরনে একটি প্যান্ট ছিল। ঘায়ে কোন জামা ছিল না। শিশুটির গলায় একটি জামা প্যাচানো রয়েছে। এছাড়া শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার ধারনা শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বেলকা এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবীব সরকার জানান, সিহার মিয়া তাঁর স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সে অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে।
থানার পুলিশ পরিদর্শক আজিজ জানান, লাশের গলায় জামা দিয়ে পেচাঁনো ছিল। এছাড়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথামিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

দৈনিক দেশতথ্য//এল//