দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৩৬ টাঙ্গাইল-০৭ মির্জাপুর আসনে চার বার জামানত হারানো সেই রুপা রায় চৌধুরী এবারও এমপি প্রার্থী হয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে থেকে নির্বাচন করছেন। এর আগে তিনি দুই বার সংসদ নির্বাচন, একবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও একবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ চার বার নির্বাচন করেছেন।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছেন। গতকাল রবিবার (৩ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইল জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম মনোযনপত্র যাচাই বাছাই শেষে রুপা রায় চৌধূরীর মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেছেন।
আজ সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রুপা রায় চৌধূরীসহ ৯ জনের মনোয়নপত্র বৈধ ঘোষা করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। একজন প্রার্থীর মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
জানা গেছে, রুপা রায় চৌধূরীর স্বামীর নাম হিমাংশু শেখর রায়। বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে।
রুপা রায় চৌধুরী গৃহিনীর পাশাপাশি পোষাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামী পেশায় একজন কৃষক ও নানা পেশার সঙ্গে জড়িত। সাংসারিক অবস্থা তেমন ভাল না হলেও বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করা যেন তার নেশায় পরিনত হয়েছে। নির্বাচন এলেই তার স্বামী এলাকায় এলাকায় মাইকিং করেন। নির্বাচনী এলাকায় তার দেয়াল লিখন এবং পোষ্টার ব্যানার না থাকলেও রুপা রায় চৌধুরী আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকেন। রুপা রায় চৌধূরী ২০১৬ সালে ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে নির্বাচন করেন। এই বারই তিনি জামানত হারিয়ে ছিলেন। ২০২৩ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে এমপি পদে নির্বাচন করবেন।
এ ব্যাপারে রুপা রায় চৌধূরী সাংবাদিকদের বলেন, এক বার না পারিলে দেখ শত বার-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আমি জনগনের সেবা করার জন্য নেমেছি। জনগন আমার আমার পাশে আছে। এক দিন সফল হবোই।
এদিকে রুপা রায় চৌধূরী ছাড়াও মির্জাপুরে রাজণৈতিক দলের প্রভাবশালী আরও ৮ জন প্রার্থীর মনোয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভকে (নৌকা)। স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের নেতা ও মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের তিন বারের চেয়ারম্যান এবং ১০ নং গোড়াই ইউনয়ন পরিষদের পাঁচ বারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির, মহেড়া পেপার মিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও ৮ নং ভাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহবুবা শাহরীন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধূরী, জাসদের মো. মসজুর রহমান মজনু এবং গামছা মার্কার মো. আরমান হোসেন তালুকদার তাপস। স্বতন্ত্র প্রার্থী টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য ও মধুমতি ব্যাংকের স্পন্সর ডাইরেক্টর এবং ইবিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফিউর রহমান খান ইউসুফজাই সানির মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

Discussion about this post