নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ককটেলসহ ৬যুবককে আটক করেছে র্যাব-১১। সোমবার (১৬ মে) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয়ে উপ-অধিনায়ক হাসান শাহরিয়ার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে রবিবার দিনগত রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাখালী এলাকায় থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজের জন্য ব্যবহৃত ৩টি ককটেল,২টি চাইনিজ কুড়াল, ১টি চাপাতি, ২টি ছোড়া, ২টি লোহার রড, ৬টি টর্চ লাইট ও ২টি লোহার পাইপ এবংডাকাতিকৃত ১টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- সোনারগাঁও উপজেলার নানাকি মধ্যপাড়া এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (১৮) ও মো. দায়েনের ছেলে মো. হৃদয় (১৮), বন্দর উপজেলার শারেং সরকার চাপাতলী এলাকার মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০), ইটেরপুল এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তালিফ হোসেন (২৩) ও হরিপুর সিঁড়ি ব্রিজ এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. রাজু আহম্মেদ (২২) এবং সোনারগাঁয়ের নয়াপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মো. ফারুক (১৯)।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক হাসান শাহরিয়ার জানান, চক্রটি গত ১ এপ্রিল গভীর রাতেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব আলমের পরিবারকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করে।
এরা গভীর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গাছ ফেলে চলন্ত গাড়ির গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা করে এবং ধারালো অস্ত্র প্রদর্শণ করে চলাচলরত যাত্রীসাধারণদের ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি ও সাধারণ লোকজনদের জিম্মি করে ডাকাতি শেষে সিএনজি/মোটরসাইকেলযোগে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এরা ডাকাতি করতে গিয়ে কখনও কখনও জনসাধারণকে মারধর, ছুরিকাঘাত ও গাড়ি ভাংচুরসহ গুরুতর জখম এমনকি প্রাণনাশের মতো ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন দিন ধরে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানা এলাকায় এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন নির্জন স্থানে তাদের অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ডাকাতি করে আসছিল।
আর//দৈনিক দেশতথ্য//১৬ মে-২০২২//

Discussion about this post