জে.এম রুমান দেওয়ান, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁয়ে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব বুধবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ময়ূর পঙ্খী লোকজ মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নেত্রকোনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম স্বাগত বক্তব্য দেবেন। মঞ্চে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চিত্রশিল্পী আবুল হাসেম খাঁন। গত রোববার মেলার সমন্বয় সভায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতি বছরই মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব আয়োজন করে।
দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীবনে আয়োজিত মাসব্যাপী এ লোক কারুশিল্প মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনী, লোকজ প্রদর্শনী, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, গ্রামীণ খেলাসহ বাহারি পণ্য সামগ্রীর প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। মাসব্যাপী উৎসবে প্রতিদিন লোকজ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্কুলের ছেলেমেয়েদের পরিবেশনায় বিলুপ্ত প্রায় গ্রামীণখেলা, পুতুল নাচ, কর্মরত কারুশিল্পীর করুপণ্যের প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকবে।
ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলায় কর্মরত কারুশিল্পী প্রদর্শনীর ২৪টি স্টলসহ ১০০টি স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রথিতদশা ৪৮ জন কারুশিল্পী সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। এ বছর সোনারগাঁয়ের কারুশিল্পের কারুকাজ, হাতি ঘোড়া, মমী পুতুলের বর্ণালি-বাহারি পণ্য, জামালপুরের তামা-কাঁসা-পিতলের শৌখিন সামগ্রী, সোনারগাঁয়ের বাহারি জামদানি শিল্প, বগুড়ার লোকজ বাদ্যযন্ত্র, কক্সবাজারের শাঁখা ঝিনুক শিল্প, ঢাকার কাগজের শিল্প, রাজশাহীর মৃৎশিল্প-মাটির চায়ের কাপ, শখের হাঁড়ি, বাটিকশিল্প, খাদিশিল্প, মণিপুরী তাঁতশিল্প, রংপুরের শতরঞ্জি শিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশ-বেতের কারুপণ্য, সিলেটের বেতশিল্প, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুজনি কাঁথা, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটা পুতুল, খাগড়াছড়ি ও মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, মৌলভীবাজারের বেতের কারুশিল্প, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, মাগুরা ও ঝিনাইদহের শোলাশিল্প, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, পাটজাত কারুপণ্য, লোকজ অলংকার শিল্প, নাগরদোলা, বায়োস্কোপ ও মিঠাই মণ্ডার পসরা থাকবে স্টলগুলোতে।
দৈনিক দেশতথ্য//এসএইচ//

Discussion about this post