নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রচারিত অপপ্রচারমূলক খবর বিবিসি এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে মুছে ফেলার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারত। বাংলাদেশেও এমন পদক্ষেপ জরুরী)
বাংলাদেশ স্বমহিমায় প্রতিভাত। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছে দিয়েছে। শিক্ষা সংষ্কৃতি কৃষ্টিকালচারে অগ্রসর একটি দেশ বাংলাদেশ।
এই দেশের উন্নয়ন দেখতে দেশবিদেশ থেকে সাংবাদিকরা আসে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে নিমিত তথ্যচিত্রের কদর বেড়েছে। ইউটিউব খুললেই দেখা যায় ভারত সহ আসে পাশের দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও ইউটিউবাররা বাংলাদেশের তথ্যচিত্র নিয়ে অসংখ্য পজেটিভ ভিডিও ক্লিপ তৈরী করেছে। তাদের তৈরী ইতিবাচক ক্লিপ সোস্যাল নেটওয়াকিং মিডিয়ায় বাংলাদেশের গৌরব ছড়াচ্ছে। আর একদল বিকৃত মাথার লোকের কেউ দেশে কেউ বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক ছড়িয়ে চলেছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোক দেশ ও দেশের নামীদামি মানুষদের নিয়ে লাগাতার অপপ্রচার করে চলেছে। এসব দেখোর যেন কেউ নেই !
তাদের আক্রমণ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন, শিল্পপতি এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার থেকে সেই সব নেগেটিভ অপপ্রচারের ক্লিপ গুলো মুছে ফেলার কোনো উদ্যোগই কেউ নিতে পারেননি। বাংলাদেশ সরকারও ওই সব অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনতে পারছেননা।
এটা যে, সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছে ভারত। কয়েকদিন আগে বিবিসি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর খবর প্রচার করেছিল। তারা সেই সংক্রান্ত সকল অপপ্রচার মুছে ফেলার জন্য ফেসবুক, টুইটার এবং ফেসবুককে নির্দেশ দিয়ে উদাহরণ স্থাপন করেছে।
কিছু নিউজ পোর্টালের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং ওয়েবসাইট থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচার করা প্রোপাগান্ডাগুলি ব্লক করার জন্য বাংলাদেশ সরকারও ভারতের পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারে বৈকি।
সাইবার বিশ্বে অগণিত বিভ্রান্তি এবং ভুল তথ্য রয়েছে। সেগুলি কিছু ইউটিউব, ফেসবুক এবং টুইটারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং জায়ান্টগুলি বিভ্রান্তি তৈরির জন্য দায়ী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বিবিসির সাম্প্রতিক খবর বানোয়াট তথ্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতি, ধর্ম এবং জাতীয়তা নির্বিশেষে বিশ্ব নেতারা সংগঠিত এবং উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার শিকার হওয়ার জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে যোগ দিয়েছেন।
এমনকি ব্রিটিশ প্রিমিয়ার ঋষি সুনাক ঘোষণা করেছেন যে তিনি আগে কিছুই শুনতে পাননি, যেমনটি বিবিসিতে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষের খবরে দেখানো হয়েছে। তবে মোদির দল বিজেপি এবং ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই অপপ্রচারের নিন্দা করেছে। দেশের জনগণ বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
ভারতীয় তথ্য মন্ত্রণালয় টুইটার এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে তাদের ওয়েবসাইট থেকে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিবিসি এবং অন্যান্য অপপ্রচারের খবর মুছে ফেলার অনুরোধ জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারীতে আলজাজিরা টেলিভিশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক ঘন্টার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তথ্য প্রমানের ঘাটতি সাংবাদিকদের বিশ্লেষণে প্রমানিত হয় ওই প্রতিবেদন ছিল মিথ্যা তথ্য সম্বলিত উদ্দেশ্যমূলক একটি প্রতিবেদন।
তথাকথিত ফ্রিল্যান্সার মৌলবাদী রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামীর এজেন্ট এবং কর্মী, যারা এই দেশর প্রধানমন্ত্রী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়িক আইকনদের বিরুদ্ধে এই সব বানোয়াট ক্লিপ তৈরী করে চলেছে। তাদের আক্রমণ থেকে দেশের কোনো সম্ভাবনাময় ব্যক্তিত্ব রেহাই পায়নি।
ইউটিউব, ফেসবুক এবং টুইটারে এখনও হাজার হাজার ভুল তথ্য ও বানোয়াট খবর বিদ্যমান। এসব অপপ্রচারকারীরা দেশের শত্রু। তাদের থামানো এখন সময়ের দাবী। ওইসব বানোয়াট অপপ্রচার মুছে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সরকারের উচিত ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া। এ ব্যাপারে ভারতের কাছ থেকেও সহায়তা চাওয়া যেতে পারে।
এবি//দৈনিক দেশতথ্য//জানুয়ারী ২৬,২০২৩//