চুটিয়ে প্রেম করে ২০০২ সালে ফাতেমা বেগমকে বউ বানিয়ে ঘরে এনেছিলেন ইমরুল লস্কর। ২০০৭ সালে কাঁচা বউ ঘরে রেখে সৌদি প্রবাসী হয়েছিলেন তিনি। হাড় ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে যা কামিয়ে ছিলেন সবই দিয়েছিলেন পেয়ার করে বিয়ে করা “বিশ্বাসী স্ত্রী” ফাতেমাকে।
ফাতেমা সেই বিশ্বাসের আমানতের খেয়ানত করে কোটি টাকা নিয়ে অন্যের হাত ধরে পালিয়েছে। স্বামী ইমরুল লস্কর এসবের কিছুই জানেনা। প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরে দেখলেন মেইন গেটে তালা মারা। ভেবেছিলেন তেইনে বুঝি আছেনই আশেপাশে।
অপেক্ষার পালা শেষ করে জানতে পারলেন তার সোনার ময়না শিকল ছিঁড়ে উড়ে গেছে। তালা ভেঙে বাড়ি ঢুকেছেন ঠিকই কিন্তু ঘর পেয়েছেন ফাঁকা। বাড়ির অস্থাবর সম্পত্তি যা ছিলো তার প্রায় সবই নিয়ে গেছে ফাতেমা।
এই ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউস গ্রামে। ইমরুল লস্কর ওই গ্রামের ইয়ার আলী লস্করের ছেলে।
ইমরুল লস্কর বলেছেন, ২০০৭ সালে সৌদি আরব যাওয়ার পর বেশ কয়েকবার দেশে এসেছেন। ফাতেমা তাঁর সাথে এমন বিশ্বাসঘাতকতা করবে একথা তার মনে হয়নি।গত রোববার (৯ জানুয়ারি) দেশে এসে বাড়ি তালাবদ্ধ দেখে তিনি ভেঙে পড়েছেন।
সৌদি প্রবাসী ইমরুল লস্করের অভিযোগ, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। তিনি এই বিশ্বাসঘাতকতার বিচার দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত ফাতেমা বেগম একই গ্রামের আলহাজ হাসেম শেখের মেয়ে। সে নিরুদ্দেশ থাকায় কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
দেশতথ্য ডেস্ক/এবি/১০ জানুয়ারি /২০২২।

Discussion about this post