নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া উপজেলা মোড়ের কেরামত আলির মেয়ে, লুবাবা পুত্রবধু স্বীকৃতির দাবিতে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন দূর্বাচারা গ্রামের রেজাউল করিম মোল্লার বাড়িতে অনশণ করেছেন।
মেয়ের পরিবার জানায় ২০২৩ সালে পারিবারিক ভাবে ধুমধাম করে বিয়ে হলেও বিয়ের দেড় বছরেও পুত্রবধুর স্বীকৃতি না পাওয়ায় স্বামীর বাড়িতে অনশন করেছেন সদর উপজেলার কেরামত আলীর মেয়ে লুবাবা নদার তারান্নুম নামে এক নারী।
অনশনে থাকা লুবাবার দাবি দেড় বছর আগে বিবাহ হলেও স্ত্রীর স্বীকৃতি দিয়ে মাত্র সাত দিন শশুর বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। স্বামী মনিরুজ্জামান (শিহাব) ঠিক থাকলেও শাশুড়ি বাঁধা দিয়েছেন দিনের পর দিন। এমনকি পুত্রবধু স্বীকৃতির দাবিতে ওই বাড়ীতে অবস্থান করলেও তার শাশুড়ি রুমে আটকে শারিরীক নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটি। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
শনিবার (২৮ জুন) স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করেন এই গৃহবধূ।
গৃহবধূ লুবাবার দাবি, দেড় বছর আগে ২০২৩ সালের শেষের দিকে বিবাহ হলেও শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পাননি। পারিবারিক ভাবে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিলো তাদের। বিয়ের মাত্র ৭ দিন পরে তার শাশুড়ী লুবাবাকে কৌশলে মায়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
বিয়ের পর দিনের পর দিন অতিবাহিত হলেও কোন সময় স্ত্রীর কোন মর্যাদা দেননি শিহাব ও তার পরিবার। এর আগেও চার বার শিহাবের বাড়িতে আসার চেষ্টা করলে শ্বশুর ও শাশুড়ী আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এর মাঝে শিহাবের পরিবার শিহাবকে গোপনে খোকসায় তার নানিরবাড়ি এলাকায় বিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে এবং লুবাবা জানতে পেরে শনিবার সকালে দূর্বাচারা গ্রামে শিহাবের বাড়িতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে অনশন শুরু করে।
লুবাবা বলেন, পৃথীবিতে কে চাই তার স্বামীর সংসার ভেঙ্গে যাক। হাতে লাল মেহেদী আর বেনারশি শাড়ি পরে কবুল বলেছিলাম ।
লুবাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন তার স্বামীর বাড়িতে। তবে পুলিশ এবং সাংবাদিকরা চলে আসলে তার শাশুড়ি ঘরে আটকে লুবাবার উপর নির্যাতন করেছে। এবিষয়ে লুবাবা বলেন আমি আমার স্বামীর ঘরের বিছানাতে বসে ছিলাম। সাংবাদিক ও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আমার শাশুড়ী আমাকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার চাচাতো ভাই উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিহাবের মায়ের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান আমার ছেলের বিয়েই হয়নি। পরবর্তীতে গায়ে হলুদ ও বিয়ের ছবি দেখালে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। তারপর রকি নামে স্থানীয় একজন এসে দাবি করেন তিনি সন্ত্রাসী লিপটনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
এক প্রকার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এবিষয়ে লুবাবার বাবা কেরামত আলী জানান, শিহাবের মা দেখেশুনে আমার মেয়ের সাথে তার ছেলের বিয়ে দেন ধুমধাম করে। কিন্তু বিয়ের সাত দিন পর থেকে তারা আমার মেয়ের জীবন নিয়ে খেলা করছে। সর্বশেষ মেরে হাসপাতালে পাঠালো। আমি সরকারের কাছে বিচার চাই।

Discussion about this post